৬৯ কোটি মানুষ অনাহারে বিছানায় যাবে আজ: এফএও
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:১৮ এএম, ২৫ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
কেনিয়ার কিতুই রাজ্যে বৃষ্টির দেখা মেলে না মাসের পর মাস। পানির অভাবে ফসল ফলাতে না পারায় দেখা দিয়া দিয়েছে চরম খাদ্য সংকট। আজ বিশ্ব খাদ্য দিবস। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির হিসেবে, বিশ্বের ৬৯ কোটি মানুষ খালি পেটে বিছানায় যাবে আজ। এর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি আফ্রিকার।
অনাবৃষ্টির কারণে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় অঞ্চলটিতে দেখা দিয়েছে চরম খাদ্য সংকট। এ অবস্থায় বেঁচে থাকাই কঠিন হয়ে পড়ছে এই অঞ্চলের মানুষের। স্থানীয়রা জানান, খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে। আমার কাছে পর্যাপ্ত টাকা নেই। আমি খাবারের সন্ধানে বনে-জঙ্গলে ঘুরে বেড়াই।
কেনিয়ায় বর্তমানে ৪১ লাখ মানুষের খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন। এর মধ্যে ১১ লাখ মানুষ রয়েছে জরুরি পরিস্থিতিতে। বছরের শুরুতে জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি ইউএনইপি জানায়, আফ্রিকার কেনিয়া, সোমালিয়া, জিবুতি ও ইথিওপিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে সবচেয়ে শুষ্ক ও উষ্ণ তাপমাত্রা বিরাজ করছে।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির শরণার্থী ও ত্রাণ বিষয়ক কর্মকর্তা ফেলিক্স ওকেচ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে না। অনাবৃষ্টির মাত্রা আরও বাড়তে পারে। সত্যিই ভয়াবহ সময় পার করছে এই অঞ্চলের বাসিন্দারা। খরার প্রভাব অত্যন্ত গুরুতর হতে পারে। যদিও সংস্থাটির হিসেবে, বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণের মাত্র ৩ শতাংশের জন্য দায়ী আফ্রিকা মহাদেশ।
জাতিসংঘের প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ আইপিসিসির ২০২২ সালের প্রতিবেদন বলছে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে পানি সংকটে ফসল উৎপাদন আরো ব্যাহত হবে। যা খাদ্য সংকটের তীব্রতা বাড়াবে।
প্রতি বছর ১৬ অক্টোবর পালিত হয় বিশ্ব খাদ্য দিবস। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘কাউকে পশ্চাতে রেখে নয়। ভালো উৎপাদনে উত্তম পুষ্টি, সুরক্ষিত পরিবেশ এবং উন্নত জীবন’।
জাতিসংঘ বলছে, এই বছরটি বিশেষভাবে চ্যালেঞ্জিং। কেননা, করোনা মহামারি, যুদ্ধ-সংঘাত, মূল্যস্ফীতি, জলবায়ু পরিবর্তন, সব কিছু মিলিয়ে পুরো বিশ্বের খাদ্য নিরাপত্তাই হুমকির মুখে পড়েছে।
এদিকে কৃষি মন্ত্রণালয় ও জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) উদ্যোগে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালন করা হচ্ছে।
প্রতি বছরের মতো এ বছরও দিবসটি উদযাপনে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। তবে দিবসটি রোবরার হলেও এবার দেশে সোমবার (১৭ অক্টোবর) দিবসটি উদযাপন করবে কৃষি মন্ত্রণালয়।
ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিশ্ব খাদ্য দিবসের মূল অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকবেন।