বাগদত্তা হারিয়ে বিয়ের স্বপ্ন ভেঙে গেছে বহু ফিলিস্তিনি নারীর!
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২২ আগস্ট,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৩:১৭ পিএম, ২৫ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
গাজা উপত্যকায় আনন্দের কয়েকটি উপলক্ষের মধ্যে অন্যতম হলো-বিয়ের অনুষ্ঠান। কিন্তু ইসরায়েলের আক্রমণে তা মৃত্যু আর বিষাদে পরিণত হয়। কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার সঙ্গে এমনই এক বিষাদের ঘটনা বর্ণনা করেছেন ২৪ বছর বয়সী আবির হার্ব নামের এক ফিলিস্তিনি নারী।
তিনি বলছিলেন, তার বাগদত্তার মরদেহ ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে উদ্ধারের জন্য তাকে ছয় ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে। আর সেই ছয় ঘণ্টা ছিলো তার জীবনে সবচেয়ে কষ্টের। সম্প্রতি ইসমাইল ডুইক নামের এক যুবকের সঙ্গে তার বাগদান হয়েছিল এবং তারা তাদের বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সেই সময়ই ইসরায়েলি বিমান হামলা দক্ষিণ গাজা উপত্যকায় ইসমাইলের বাড়িঘর ধ্বংস করে দেয়। সবশেষ যুদ্ধে নিহত ৪৯ ফিলিস্তিনির মধ্যে ছিলেন ইসমাইল। ইসরায়েলের তরফে বলা হয়, এটি ছিল ইসলামিক জিহাদের ওপর একটি ‘আগাম’ হামলা।
আবির আল জাজিরাকে বলেন, ইসমাইলের পরিবার তার পরিবারকে দুপুরের খাবারের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিল, কিন্তু ওই লড়াইয়ে সব শেষ হয়ে গেছে।
যুদ্ধে যাওয়ার আগে ইসমাইল তাকে বলেছিল, শিগগিরই ফিরে এসে তার সঙ্গে দেখা হবে, কিন্তু মৃত্যু এমন এক ভ্রমণ যা থেকে ফিরে আসা যায় না। ইসমাইল বোমা হামলার কিছুক্ষণ আগে বাড়ি ফিরেছিল এবং তার মায়ের সঙ্গে তাকে হত্যা করা হয়। খবর পেয়ে আবির ছুটে যান ইসমাইলের বাড়িতে। যেয়ে দেখেন, এলাকাটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
আবির বলেন, ‘আমি ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে মরদেহ এবং আহতদের বের করার প্রক্রিয়া দেখে সারারাত চোখ বন্ধ করতে পারিনি। আমি স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করছিলাম যেন ইসমাইল বেঁচে থাকে। আমি নিজেকে বলছিলাম যে, তার পা কেটে ফেলা বা অন্য কিছু হলেও আমি সন্তুষ্ট থাকব। তবে ইসমাইল ফেরেনি। আমার মনে হচ্ছিল আমার জীবন আমার কাছ থেকে চুরি হয়ে গেছে। আমার বাগদত্তা ইসমাইল আমাদের জন্য একটি সাধারণ ঘর প্রস্তুত করেছিলেন, যাতে আমরা আর কখনই একসঙ্গে থাকতে পারবো না।