avertisements 2

পরিচ্ছন্নতাকর্মী থেকে কোটি টাকার প্রতিষ্ঠানের মালিক

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১১ জুলাই,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০১:১৬ এএম, ২৬ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪

Text

ছোটবেলা থেকেই ব্যবসা করার স্বপ্ন দেখতেন। কিন্তু কম বয়সে তার পরিবারের সংগতি ছিল না। তাই অর্থ উপার্জন করতে বিমানবন্দরে পরিচ্ছন্নতার কাজ থেকে শুরু করে রাস্তায় কাগজও বিক্রি করতে হয়েছে তাঁকে। এখন ৩৩ বছর বয়সী এই যুবক উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর এলাকার বাসিন্দা।

অস্ট্রেলিয়ার নবীনতম ব্যবসায়ীদের মধ্যে আমির কুতুবের নাম থাকবে তালিকার একেবারে ওপরের দিকে। অস্ট্রেলিয়ার নামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ পড়বেন বলে ২০১২ সালে তিনি অস্ট্রেলিয়া পাড়ি দেন। এর জন্য তাঁর বাবাকে ঋণ করতে হয়।

জিলংয়ের ডিকলিং ইউনিভার্সিটি থেকে ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট নিয়ে এমবিএ শুরু করেন আমির। একই সঙ্গে নিজের স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানের জন্য টাকা জমা করবেন বলেও ঠিক করেন। কিন্তু তাঁর কাছে বাড়তি টাকাই ছিল না। বাবার কাছেও আর্থিক সাহায্য চাওয়ার মতো পরিস্থিতি ছিল না। ছেলেকে এমবিএ করাতে পাঁচ লাখ রুপি খরচ হয়েছিল তাঁর।

কোনো উপায় না দেখে বিদেশে নিজেই উপার্জনের রাস্তা খোঁজা শুরু করেন আমির। দেড় শর বেশি প্রতিষ্ঠানে চাকরির জন্য আবেদন করেন তিনি। তাতে কোনো লাভ হচ্ছিল না। বেশিদিন অপেক্ষা না করে তিনি জিলং বিমানবন্দরে সাফাইকর্মীর কাজেই যোগ দেন।

সপ্তাহে চার দিন দৈনিক ১২ ঘণ্টা পরিশ্রম করার পর আমির আর পড়ার জন্য সময় পেতেন না। তাই তিনি অস্ট্রেলিয়ার রাস্তায় খবরের কাগজ বিক্রি করতে শুরু করেন। রাত ৩টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত পত্রিকা বিক্রি করে তিনি সারা দিন ধরে পড়াশোনা করতেন। পাশাপাশি চাকরির আবেদন করাও চালিয়ে যাচ্ছিলেন। অবশেষে একটি তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থায় শিক্ষানবিশ হিসেবে যোগ দেন আমির। এরপর অপারেশন ম্যানেজার পদে একটি প্রতিষ্ঠানে যোগ দেন। সেখানে তাঁর বেতন ছিল মাসে পাঁচ হাজার ডলার (ভারতীয় মুদ্রা অনুযায়ী প্রায় তিন লাখ রুপির কাছাকাছি)।

প্রতিষ্ঠানটি একসময় সংকটে পড়লে চলে যান অন্যতম বড় কর্তা। এই সময় আমিরকে কিছু সময়ের জন্য জেনারেল ম্যানেজার পদের দায়িত্বভার দেওয়া হয়। সুযোগটা হাতছাড়া করেননি আমির। আরো পরিশ্রম করা শুরু করেন। পরিশ্রমের ফলও পেলেন অচিরেই। ২৫ বছর বয়সেই সেই সংস্থার নবীনতম জিএম পদে বসলেন।

২০১৪ সালে আমির নিজে এক ডিজিটালভিত্তিক প্রতিষ্ঠান তৈরি করেন। এ ছাড়া তিনি চারটি স্টার্টআপ সংস্থার সহ-প্রতিষ্ঠাতা। অতিমারি চলার সময় আমির একটি সংস্থা চালু করেছিলেন। ওই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে লোকে প্রতিবেশীকে নিজের পরিচয় গোপন রেখে সাহায্য করতে পারত। বর্তমানে পেশাদার এবং ছাত্র-ছাত্রীদের সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছে দিতে সাহায্য করেন আমির। তাঁর সংস্থার মোট সম্পদের পরিমাণ ১০ লাখ ডলার, যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় আট কোটি রুপি।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2