হঠাৎ মেধাতালিকায় এক নম্বরে মন্ত্রীর মেয়ে! সুযোগ এসেও চাকরি হাতছাড়া শিলিগুড়ির ববিতার
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৮ মে,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:০৪ পিএম, ১০ এপ্রিল,বৃহস্পতিবার,২০২৫

মেধা তালিকা অনুষায়ী আশা করেছিলেন, দ্বিতীয় কাউন্সিলিংয়ে চাকরি হয়ে যাবে। কিন্তু আশাভঙ্গ হয় তালিকার প্রথমেই মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর নাম চলে আসায়। চাকরি পাননি শিলিগুলির কোর্ট মোড়ের বাসিন্দা ববিতা সরকার। পাঁচ বছর কেটে গেলেও আজও তাঁর চাকরি হয়নি।
২০১৬ সালের ৪ ডিসেম্বর এসএসসি পরীক্ষায় বসেন ববিতা। ২০১৭-র ২৭ নভেম্বর মেধা তালিকা প্রকাশিত হয়। সেখানে প্যানেল লিস্টে নাম ছিল না তাঁর। নাম ছিল ওয়েটিং লিস্টে। প্যানেলের পর ওয়েটিং লিস্ট থেকেও চাকরি হয়। তাই ববিতা আশা করেছিলেন তাঁরও চাকরি হবে। ওয়েটিং লিস্টের তালিকা প্রকাশের দাবিতে একাধিক পরীক্ষার্থী আদালতেরও দ্বারস্থ হন। আদালতের নির্দেশে কমিশন যে তালিকা প্রকাশ করে সেখানে দেখা যায় ২০ নম্বরে নাম রয়েছে ববিতার।
মঙ্গলবার ববিতা দাবি করেন, প্রথম কাউন্সিলিংয়ের পর দ্বিতীয় কাউন্সিলিং শুরু হলে তিনি জানতে পারেন তালিকায় ২০ থেকে তাঁর নাম ২১-এ চলে এসেছে। সেই জায়গায় এক নম্বরে চলে এসেছে অঙ্কিতার নাম। বাধ্য হয়ে তিনি কমিশনের দ্বারস্থ হন। কমিশন জানায়, আরটিআই (তথ্যের অধিকার আইন) করার পর অঙ্কিতার নম্বর বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু এর স্বপক্ষে কোনও কাগজ দেখাতে পারেনি তারা।
শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে যে আন্দোলন শুরু হয়, তাতে অংশ নেন ববিতাও। এর পর পঞ্চম কাউন্সিলিং হয়ে গেলেও আর চাকরি মেলেনি তাঁর। তাঁর কথায়, ‘‘মেধা তালিকা অনুযায়ী ২০১৯-এ আমার চাকরি হয়ে যাওয়ার কথা। সেই সে তালিকায় প্রথমে অঙ্কিতার নাম চলে এল, আর চাকরি হল না। বাধ্য হয়ে আমি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি। বিষয়টি এখনও বিচারাধীন।’’
আরও পড়ুন
এই বিভাগের আরো খবর

বিবিসির প্রতিবেদনে এবার উঠে এলো আয়নাঘরের ভয়াবহ চিত্র

৩৬টি হামলায় শুধু নারী-শিশুদের হত্যা করেছে ইসরায়েল: জাতিসংঘ

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতিতে নাটকীয় পরিবর্তন: ট্রাম্পকে ধন্যবাদ প্রধান উপদেষ্টার

বাংলাদেশের মঙ্গল ভারতের চেয়ে বেশি অন্য কেউ কামনা করে না: জয়শঙ্কর
