avertisements 2

টানা ৩ দিন গণধ’র্ষণের পর পুলিশের লালসার শিকার তরুণী

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৪ মে, বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:৫৯ এএম, ২৫ ডিসেম্বর, বুধবার,২০২৪

Text

এক তরুণীকে টানা তিন দিন ধরে গণধ’র্ষণ করে চার ব্যক্তি। সেই অভিযোগ জানাতে থানায় গেলে থানা পুলিশও নির্যাতিতাকে ধ’র্ষণ করে বলে অভিযোগ উঠেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের ললিতপুরে। মঙ্গলবার অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা ও বাকি ধর্ষকদের নামে অভিযোগ করে সেই নির্যাতিতা। ললিতপুরের পুলিশ সুপার নিখিল পাঠক জানান, এসএইচও পালি তিলক ধরিকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এছাড়া আরো পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

নির্যাতিতার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ২২ এপ্রিল চার ব্যক্তি প্রলোভন দেখিয়ে তাকে ভোপালে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে রেলস্টেশনের কাছে একটি বাড়িতে রাখা হয়েছিল এবং তিন দিন ধরে গণধর্ষণ করা হয়েছিল।

২৬ এপ্রিল পালি থানা এলাকায় তাকে রাস্তায় ফেলে দেয়া হয় এবং অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। এরপর তাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে তাকে তার এক আত্মীয়ের হেফাজতে রাখা হয়েছিল। নির্যাতিতাকে তার বক্তব্য দেয়ার জন্য ২৭ এপ্রিল থানায় আসতে বলা হয়েছিল। পুলিশের নির্দেশ অনুযায়ী, নির্যাতিতার আত্মীয় তাকে এসএইচও’র কাছে নিয়ে যান। যে সময় নির্যাতিতার বক্তব্য রেকর্ড করা হচ্ছিল, তখন তার আত্মীয় সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।

অভিযোগ করা হয়েছে যে তাকে এসএইচও তার চেম্বারে ধর্ষণ করেছে এবং পরে তাকে তার আত্মীয়র কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে। এরপর ৩০ এপ্রিল তাকে চাইল্ডলাইনের হেফাজতে দেয়া হয়েছিল।

এর মাঝে নির্যাতিতার বিষয়ে পুলিশ তার বাবা-মাকে জানায়নি। কাউন্সেলিং চলাকালীন নির্যাতিতা তার অভিজ্ঞতার কথা জানান চাইল্ডলাইন বিশেষজ্ঞদের কাছে। এরপর চাইল্ডলাইনের কর্মকর্তারা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নজরে আনেন বিষয়টি। এরপর মঙ্গলবার দুপুরে ললিতপুরের এসপি মামলা নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেন।

এসএইচও তিলকধারী, চন্দন, রাজ ভান, হরি শঙ্কর মহেন্দ্র চৌরাসিয়া এবং নির্যাতিতার আত্মীয় গুলাব বাই আহিরওয়ারের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। 

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2