avertisements 2

ফের পরিবারতন্ত্রের কবলে পাকিস্তান

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১২ এপ্রিল,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:৪২ এএম, ২৫ ডিসেম্বর, বুধবার,২০২৪

Text

ব্যাপক জনসমর্থন নিয়ে ২০১৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে জিতে পাকিস্তানের ঐতিহ্যবাহী পরিবারতান্ত্রিক শাসনের ইতিহাস বদলে দিয়েছিলেন ইমরান খান। ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিক বনে যাওয়া এ নেতার হাতে তথাকথিত এলিট শাসনব্যবস্থার পতন হয়েছিল বলে মনে করতেন অনেকে। কিন্তু পাকিস্তানের রাজনীতিতে সেই নতুন ধারা বেশিদিন স্থায়ী হলো না। ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে আবারও পরিবারতান্ত্রিক শাসনে ফিরে গেছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি।

সোমবার (১১ এপ্রিল) পাকিস্তানের পার্লামেন্টে অনেকটা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন শাহবাজ শরিফ। তিনি দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই। শরিফ পরিবারের নওয়াজ একাই পাকিস্তানকে তিন মেয়াদে প্রায় নয় বছর শাসন করেছেন। ভুট্টো পরিবারের কয়েকজন পাকিস্তানকে শাসন করেছেন প্রায় ১২ বছর।

এভাবে কয়েক দশক ধরে দেশটির রাজনীতিতে যে পরিবারতন্ত্র জেঁকে বসেছিল, ২০১৮ সালে তাতে ধস নামান ইমরান খান। নির্বাচনে জিতে নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল-এন) ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর পুত্র বিলাওয়াল ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) কয়েক দশকের শাসনের অবসান ঘটান তিনি। এর আগের রাজনৈতিক জীবন খুব দীর্ঘ না হলেও ইমরানের এ অর্জন বিশ্বব্যাপী আলোচনার জন্ম দেয়।

পাকিস্তানের আধা-সামন্তবাদী সমাজব্যবস্থা ও রাজনীতির স্তরে স্তরে পিতৃতন্ত্র, পরিবারতন্ত্র ও আত্মীয়করণ বিরাজ করে আসছে। বিশেষ করে গত কয়েক দশকে দেশটির রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্রই সবচেয়ে বেশি প্রভাব খাটিয়েছে। এই মুহূর্তে ক্ষমতাসীন প্রধান দুই দল মুসলিম লীগ (নওয়াজ) এবং পাকিস্তান পিপল’স পার্টি উভয়ের ক্ষেত্রেই এটি বাস্তব।

২০১৭ সালে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ‘অযোগ্য’ ঘোষিত হয়ে নওয়াজ শরিফ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই তার ছোট ভাই শাহবাজকে নেতৃত্বে বসানোর প্রবণতা দেখা যায়। শাহবাজের পর সিরিয়ালে রয়েছেন নওয়াজকন্যা মরিয়ম নওয়াজ, এরপর মরিয়মের ছেলে জুনায়েদ সফদার। আলোচনায় রয়েছেন শাহবাজের ছেলে হামজা শাহবাজ শরিফও।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2