avertisements 2

বাংলাদেশি ওষুধ পশ্চিমবঙ্গের সরকারি হাসপাতালে, নড়েচড়ে বসেছে স্বাস্থ্য ভবন

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৬ এপ্রিল, বুধবার,২০২২ | আপডেট: ১১:১৪ এএম, ১০ মে,শুক্রবার,২০২৪

Text

পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে বাংলাদেশ সরকারি ওষুধ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশের বিক্রয় অযোগ্য ওষুধ কিভাবে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি হাসপাতালে এলো তা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য অঙ্গনে। 

কিভাবে বাংলাদেশ সরকারের ওষুধ এই হাসপাতাল থেকে দেওয়া হচ্ছে তা অবিলম্বে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য ভবন। মঙ্গলবার সকাল থেকে হাসপাতালের আউটডোর ডাক্তার দেখানোর পর রোগীরা স্টোরে বিনামূল্যের ওষুধ সংগ্রহ করতে গেলে সেখানে মিলেছে বাংলাদেশি ওষুধ। 

কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ডাক্তার অনির্বাণ চৌধুরী স্বাক্ষরিত একটি প্রেসক্রিপশন আসে সমকালের হাতে। সেখানে উল্লিখিত ডক্সিসাইক্লিন ক্যাপসুল আদতে একটি বাংলাদেশি ওষুধ। ওষুধটি স্টোর থেকে বের করার পর দেখা যায়, সেখানে বড় করে লেখা ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সম্পদ’।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলা শাসক পূর্ণেন্দু কুমার মাঝি সমকালকে বলেন, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর এবং জেলা প্রশাসন এ ঘটনায় যৌথ কমিটি গঠন করেছে।কিভাবে ওই ওষুধ হাসপাতালে স্টোরে এসে পৌঁছালো তা দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যেসব সরকারি ওষুধ কাঁথি হাসপাতালে রয়েছে সেগুলোর প্যাকেটের গায়ে তৈরির তারিখ ও মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ উল্লেখ নেই। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, সরকারিভাবে কলকাতার স্টোর থেকে ওই ওষুধ জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

এদিকে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গড় বলে পরিচিত পূর্ব মেদিনীপুর জেলা থেকে এমন ঘটনা ঘটায়  প্রত্যাশিতভাবে ময়দানে নেমেছে বিজেপি। ওষুধগুলো বাংলাদেশ থেকে বৈধভাবে এসেছে নাকি অবৈধভাবে তা জানা প্রয়োজন বলে মনে করছেন শুভেন্দু অধিকারী।  

তিনি বলেন, ‘এমন ঘটনা অতীতে ঘটেনি। ভারত যেখানে সারা বিশ্বে ওষুধ রপ্তানি করে, সেখানে কিভাবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সরকারি স্টোরে বাংলাদেশি ওষুধ ঢুকলো তার প্রকৃত কারণ জানতে উচ্চপর্যায়ে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি করি।’ 

রাজ্যের স্বাস্থ্য ভবনের আরেক কর্তা বলেন, ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় বাংলাদেশ সরকার ওষুধের বড় চালান পাঠিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গে।সেই ওষুধের একটা বড় অংশ ছিল রাজ্যের মেডিসিন স্টোরে। ভুলক্রমে সেই ওষুধও পাঠানো হতে পারে এই হাসপাতালে।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2