১৫ পাত্রীর কেউ বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় যুবকের আত্মহত্যা
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৩ মার্চ,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ১১:৩৩ এএম, ১০ মে,শুক্রবার,২০২৪
ছবি সংগৃহীত
চলচিত্রের জনপ্রিয় একটি গান 'বাবা আমার কি বিয়ে হবে না'—মাঝেমধ্যেই গেয়ে উঠতেন তিনি। মজার ছলে তিনি গানটি গাইতেন বলে যে কেউ ধারণা করতে পারেন। তবে তার মনে দুঃখ, বেদনা এবং হতাশা লুকায়িত ছিল। কারণ তার যে আসলে বিয়ে হচ্ছিল না।
জন্মগতভাবে শারীরিক ‘প্রতিবন্ধী’ ছিলেন ৩০ বছর বয়সী মনোজ ঘোষ। গত দুই বছরে বিয়ের জন্য একাধিকবার মেয়ে দেখেছিলেন তিনি। ১৫টির মতো জায়গায় তার জন্য সম্বন্ধ দেখা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিয়ে হয়নি। আর সেই চরম হতাশা থেকে একপর্যায়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকের বটুন গ্রাম পঞ্চায়েতের কৃষ্ণগর এলাকায় মনোজের বাড়ি। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় মনোজের দেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর খবর দেওয়া হয় পতিরাম থানায়।
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। কী কারণে ওই যুবক আত্মহত্যা করেছেন তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
স্থানীয়রা বলেছেন, বারবার বিয়ে ভেঙে যাওয়ায় মনোজ ভেবেছেন- প্রতিবন্ধী হওয়ার জন্যই তার বিয়ে হচ্ছে না। অভিমানে আত্মহত্যা করেছেন।
পরিবার বলছে, জন্ম থেকেই মনোজের ডান হাতে সমস্যা ছিল। কিন্তু তা নিয়েই জীবন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছিলেন মনোজ। পড়াশোনা শেষ করেই মনোজ তার বাবার সঙ্গে কৃষিকাজে হাত লাগান। তার এক ভাইও ছিল।
গত বছর হঠাৎ করেই তার ভাইও আত্মহত্যা করে। এবার বিয়ের বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে বলে মনোজও আত্মহত্যা করলেন। বাবা মণি ঘোষ বলেন, ছেলে ছোট থেকেই বিশেষভাবে সক্ষম। আমরা না থাকলে তাকে কে দেখবে এই জন্য বিয়ে করতে চাইছিল।
পুলিশ বলেছে, দুই বছর আগে থেকেই মনোজ বিয়ে করার জন্য পাত্রী দেখেছে। মনোজের জন্য মেয়ে দেখেছে তার পরিবার। দুই বছরে অন্তত ১৫ জন পাত্রী দেখা হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনো পাত্রীই মনোজকে বিয়ের জন্য রাজি হয়নি।
সেই হতাশা থেকে আত্মহত্যা করেন মনোজ। আত্মহত্যা করার আগে মনোজ ব্যাগে করে তুলসীগাছ, ধূপকাঠি, গীতাসহ মৃতদেহ সৎকারে যা যা প্রয়োজন সব ভরে রেখে গেছেন।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস