avertisements 2

বিয়ে করে হানিমুনে না গিয়ে যুদ্ধের ময়দানে ইউক্রেনের যুগল

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৬ ফেব্রুয়ারী,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ১১:৩৬ এএম, ৮ মার্চ,শুক্রবার,২০২৪

Text

ভিয়াতোস্লাভ ফারসন ও ইয়ারিনা আরিয়েভা

আগামী মে মাসে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার কথা ছিল। সে জন্য চূড়ান্তও হয়েছিল সবকিছু। তবে বৃহস্পতিবার রাশিয়া ইউক্রেনের উপর হামলা চালালে সবকিছু উলটপালট হয়ে যায় ইউক্রেনের যুগলের।

সংঘর্ষ বেধে যাওয়ায় নির্ধারিত সময়ের আগেই বিয়ের কাজটি সেরে ফেলেন ইউক্রেনের ওই তরুণ-তরুণী। তারা হলেন, ভিয়াতোস্লাভ ফারসন (২৪) ও ইয়ারিনা আরিয়েভা (২১)।
খবর সিএনএন নিউজের।

একিদকে চলছে বোমাবিস্ফোরণ অন্যদিকে রাজধানী কিয়েভের সেন্ট মাইকেল ক্যাথেড্রালে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারেন ওই তরুণ-তরুণী।তবে ওই যুগল সিদ্ধান্ত নিলেন বিয়ের পরে হানিমুনে নয়, সরাসরি যুদ্ধের ময়দানে যাবেন। লড়াই করবেন ইউক্রেনের হয়ে।

সিএনএন জানায়, তাদের পরিকল্পনা ছিল, এক সুন্দর রেস্তোরাঁর ছাদ বারান্দায় উদযাপন করবেন জীবনের অন্যতম এই মুহূর্তটা। তার পাশে বহমান দিনেপার নদী। আরিয়েভার ভাষায়, ‘কেবল আমরা ও নদী। সঙ্গে সুন্দর আলো।’

কিন্তু তা আর হয়ে উঠেনি। যুদ্ধের ভয়ে যখন ইউক্রেনের মানুষ দেশ ছেড়ে পালাচ্ছে, তখন বিয়ের পর নিরাপত্তার খোঁজে কোথাও না গিয়ে যাচ্ছেন যুদ্ধের মাঠে।

এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, রাশিয়ার হামলা থেকে ইউক্রেনকে রক্ষা করতে বিয়ের পরপরই যুদ্ধে অংশ নিতে অস্ত্র সংগ্রহে নেমেছে এই নবদম্পতি। তারা দুজনেই যোগ দিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে গঠিত ইউক্রেন সশস্ত্রবাহিনীর শাখা টেরিটোরিয়াল ডিফেন্স ফোর্সে।

আরিভা বলেন, আমাদের পক্ষে যা সম্ভব হবে দেশের জন্য আমরা তাই করবো। শুধু এইটুকু প্রত্যাশা, সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। আবার সবকিছু আলো ঝলমলে হবে।

আরিভা আরও বলেন, নিজের দেশকে বাঁচাতে আপনিও এই যুদ্ধে নেমে পড়তে পারেন। এটাই এখন একমাত্র সমাধান।

২০১৯ সালে কিয়েভের এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে পরিচয় হয় ইয়ারিনা আরিভা এবং ভিয়াতোস্লাভ ফারসন নামের এই প্রেমিকযুগলের। ধীরে ধীরে তা প্রেমের সম্পর্কে গড়ায়।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন। এরপর ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রুশ সেনারা। দিনভর তিন দিক থেকে ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছে তারা। এতে ইউক্রেনের ১৩৭ সেনা এবং রাশিয়ারি ১২ সেনা নিহত হয়।

যুদ্ধের দ্বিতীয় দিনও তুমুল লড়াই হয়েছে। ইউক্রেনের হোস্টোমেল বিমানঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নেয় রুশ বাহিনী। যুক্তরাজ্যের দাবি, চলমান এই যুদ্ধে রাশিয়ার ৪৫০ সেনা নিহত হয়েছে। যদিও ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, এ পর্যন্ত ১ হাজারেরও বেশি রুশ সেনা নিহত হয়েছে। তবে দিন শেষে ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় সম্মতি দিয়েছেন পুতিন।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2