একে একে ১৪ বিয়ে করে পড়ল পুলিশের জালে ধরা
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৫ ফেব্রুয়ারী,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০১:০২ এএম, ২৫ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
ছবি: সংগৃহীত
ডাক্তার সেজে ১৪ জন নারীকে বিয়ে করার পরে অবশেষে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন বিধুপ্রকাশ সোয়াইন ওরফে রমেশ নামে এক ব্যক্তি। ভারতের ওড়িশায় এ ঘটনা ঘটে।
৫৪ বছর বয়সী এই ব্যক্তি মূলত মাঝবয়সি অথবা তালাকপ্রাপ্ত নারীদের টার্গেট করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
ওড়িশার ভুবনেশ্বরের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার উমাশংকর দাস জানান, ওড়িশা ছাড়াও পাঞ্জাব, দিল্লি, আসাম, ঝাড়খণ্ডের মোট সাতটি শহরে প্রতারণার জাল ছড়িয়েছিলেন বিধুপ্রকাশ। নিজের পরিচয় দিতেন ডাক্তার বলে। কোথাও কোথাও সরকারি অফিসারের পরিচয়ও দিয়েছিলেন তিনি।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, মূলত বিয়ে সংক্রান্ত ওয়েবসাইটগুলোতে তিনি ফাঁদ পাততেন। পুলিশ জানতে পেরেছে, তিনি যে নারীদের টার্গেট বানাতেন তারা বেশির ভাগই উচ্চশিক্ষিত এবং সরকারি-বেসরকারি সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মী।
তাদের বিপুল অর্থের দিকেই নজর থাকত বিধুর বলেও জানান উমাশংকর।
জানা যাচ্ছে, ২০০২ সাল থেকেই তার এই বিয়ের নামে প্রতারণার সূত্রপাত। এইভাবেই চলেছিল ১৯ বছর। ২০২১ সালের জুলাই মাসে দিল্লির এক স্কুলশিক্ষিকা জানতে পারেন অভিযুক্তের একাধিক বিয়ের বিষয়ে। এরপরই তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন।
জানা গেছে, অভিযুক্ত বিধুপ্রকাশের বাড়ি তল্লাশি করে ১১টি এটিএম কার্ড ও চারটি ভুয়া আধার কার্ড পাওয়া গেছে। কার্ডগুলোতে নানা রকম নাম ব্যবহার করেছিলেন তিনি।
বিধুপ্রকাশকে হায়দরাবাদে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল টাকার বিনিময়ে চাকরির ভুয়া প্রতিশ্রুতি দেওয়ার অভিযোগে। সেসময় প্রতারণার মাধ্যমে মোট ২ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছিলেন। এছাড়া কেরালায় একটি জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হতে হয়েছিল তাকে। এবার সামনে এল তার ১৪টি বিয়ের কেলেঙ্কারির বিষয়টি।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন, ইন্ডিয়ান একপ্রেস