কাশির সিরাপ খেয়ে দুই শিশুর মৃত্যু: নিরাপদ প্রমাণে খেয়ে ডাক্তারও অজ্ঞান!
                                    
                                    
                                        
                                            ডেস্ক রিপোর্ট
                                        
                                    
                                   
                                     প্রকাশ:  ১২:০০ এএম,  ২ অক্টোবর,বৃহস্পতিবার,২০২৫ | আপডেট:  ০২:০৫ এএম,  ২৬ অক্টোবর,রবিবার,২০২৫
                                
 
                        
                    সংগৃহীত ছবি
ভারতের রাজস্থান রাজ্যে সরকারি সরবরাহকৃত একটি কফ সিরাপ খেয়ে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনা আরও ১০ শিশু আহত হয়। এমনকি সিরাপটির নিরাপত্তা প্রমাণ করতে সেটি খাওয়ার পর অজ্ঞান হয়ে পড়েছেন এক চিকিৎসকও।
ঘটনাটি ঘিরে ভারতের রাজস্থান রাজ্যজুড়ে ব্যাপক উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
বুধবার (১ অক্টোবর) প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে ভারতের মিডিয়া জানায়, ঘটনার শুরু গত সোমবার, যখন রাজস্থানের সিকার জেলার ৫ বছর বয়সী নিতিশ কফ ও ঠান্ডায় আক্রান্ত হয়ে চিরানা কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে নেওয়া হয়। চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী সিরাপটি তাকে দেওয়া হয়।
রাত ১১টা ৩০ মিনিটের দিকে ওষুধ খাওয়ার পর মাঝরাতে একবার হেঁচকি তুললেও পরে ঘুমিয়ে পড়ে শিশুটি। সকালে আর জেগে ওঠেনি সে। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এরপর জানা যায়, গত ২২ সেপ্টেম্বর একই সিরাপ খাওয়ার পর ২ বছর বয়সী সম্রাট জাতভ নামের আরেক শিশুও মারা গিয়েছিল। সেসময় তার সঙ্গে সিরাপ খাওয়ার পর বমি করে জেগে উঠেছিল বোন ও চাচাতো ভাই। কিন্তু সম্রাটকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পরও বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
সম্রাটের দাদী বলেন, আমরা জানতামই না সিরাপটি এত ভয়ংকর হতে পারে। নিতিশের মৃত্যুর খবর না পেলে আমরা কখনও বুঝতেই পারতাম না যে সিরাপটাই এর কারণ।
বায়ানার কমিউনিটি হেলথ সেন্টারের ইনচার্জ ডা. তারাচন্দ যোগী একজন অভিভাবকের অভিযোগের পর নিজেই সিরাপ খেয়ে নিরাপদ প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন। তিনি একজন অ্যাম্বুলেন্স চালককেও সিরাপটি দেন। পরে গাড়ি চালিয়ে বেরোলে পথে ঘুমঘুম ভাব অনুভব করে তিনি গাড়ি থামিয়ে অচেতন হয়ে পড়েন।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী রাজস্থান রাজ্য সরকারের জন্য কেইসন ফার্মা নামের একটি ওষুধ কোম্পানি যে কফ সিরাপ উৎপাদন করেছিল, তার ২২টি ব্যাচ ইতোমধ্যে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস।


 
                                     
                                     
                                     
                                     
                                    


