avertisements 2

ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক করবে না সৌদি

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৫ ফেব্রুয়ারী, বুধবার,২০২৫ | আপডেট: ১০:৪১ পিএম, ৫ ফেব্রুয়ারী, বুধবার,২০২৫

Text

সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। ফাইল ছবি। সৌদি প্রেস এজেন্সি/রয়টার্স থেকে নেওয়া


ফিলিস্তিনিদের নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যের ত্বরিত প্রতিক্রিয়ায় সৌদি আরব বলেছে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করবে না তারা।

বুধবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জোরের সঙ্গে এ কথা বলেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

যুক্তরাষ্ট্র গাজা ভূখণ্ডের দখল চায়— মঙ্গলবার এমন বলার সময় ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, সৌদি আরব ফিলিস্তিনিদের জন্য রাষ্ট্র চাইছে না। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ প্রতিক্রিয়া এলো।

যুক্তরাষ্ট্র সফররত ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প ফিলিস্তিন নিয়ে তার নতুন পরিকল্পনার কথা জানিয়ে সবাইকে স্তম্ভিত করে দেন।

তিনি বলেন, গাজায় থাকা ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র পুনর্বাসনের পর যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধবিধ্বস্ত ভূখণ্ডটি নিয়ে নেবে এবং এর অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটাবে।

ট্রাম্পের এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে রিয়াদ বলেছে, ফিলিস্তিনিদের তাদের ভূখণ্ড থেকে সরানোর যে কোনে চেষ্টার বিরোধিতা করবে সৌদি আরব।

ফিলিস্তিনিদের নিয়ে তাদের অবস্থান নিয়ে ‘আলোচনা বা দরকষাকষির কোনো সুযোগ নেই’, বলেছে তারা।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান দেশের অবস্থান এত ‘সুস্পষ্ট ও দ্ব্যর্থহীনভাবে’ বলে দিয়েছেন, কোনো পরিস্থিতিতেই এর অন্য কোনো ব্যাখ্যার কোনো সুযোগ নেই।

ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার যে কোনো উদ্যোগ বা চেষ্টা কেবল ফিলিস্তিনিদের জন্যই নয়, আরব রাষ্ট্রগুলোর জন্যও বেশ সংবেদনশীল, বলছে রয়টার্স।

গত মাসে হওয়া যুদ্ধবিরতির আগে ইসরায়েলের সঙ্গে গাজার সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সোয়া এক বছরের যুদ্ধের সময়ও ফিলিস্তিনিরা আরেকটি ‘নাকবা’ বা জোর করে অন্যত্র স্থানান্তরিত করা নিয়ে আশঙ্কায় ছিলেন। ইসরায়েলের জন্মের সময়ের ‘নাকবা’ লাখ লাখ ফিলিস্তিনিকে বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য করেছিল।

ফিলিস্তিন প্রসঙ্গে সৌদি আরবের অবস্থান ট্রাম্পের পাশাপাশি ইসরায়েলের জন্যও বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

যুক্তরাষ্ট্র অনেকদিন ধরেই রিয়াদের সঙ্গে তেল আবিবের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম প্রভাবশালী দেশ সৌদি আরব যেন ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় সেটাও তাদের চাওয়া।

২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় ‍যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ভূখণ্ডটিতে ইসরায়েলের নির্মম তাণ্ডবের প্রতিক্রিয়ায় পুরো আরব অঞ্চল ফুঁসে উঠলে সৌদি আরব তেল আবিবের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা তাকে তুলে রাখে।

ট্রাম্প চাইবেন, সৌদি আরব যেন সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের পদাঙ্ক অনুসরণ করে। এই দুই দেশ ২০২০ সালে কথিত ‘আব্রাহাম অ্যাকর্ডে’ স্বাক্ষর করে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকের ঘোষণা দিয়েছিল।

সৌদি আরবকে এ তালিকায় নিতে পারা হবে ইসরায়েলের জন্য বিরাট পুরস্কার; কেননা কেবল মধ্যপ্রাচ্যেই নয়, সমগ্র মুসলিম বিশ্বেই রিয়াদের প্রভাব অনেক অনেক বেশি। সৌদি আরব বিশ্বের শীর্ষ তেল রপ্তানিকারকও। 

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2