আমরা এখন কোথায় যাব- প্রশ্ন গাজাবাসীর
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৫ জানুয়ারী,সোমবার,২০২৪ | আপডেট: ০৬:০৪ পিএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
ইসরাইলি হামলার ১০০ দিনের মধ্যে গাজার ৭০ শতাংশ বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে। বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা আশঙ্কা করছে যে- যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরেও তাদের নিজ শহরে ফিরে যাওয়ার মতো আর কিছুই থাকবে না।
সোমবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পরিবারের সাথে দক্ষিণ গাজার একটি তাঁবুতে আশ্রয় নেয়া শাহিনাজ বকর নামে এক নারী প্রতিবেদকের কাছে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘আমরা যখন গাজা শহরে ফিরে যাব তখন আমরা কোথায় যাব? আমরা কোথায় থাকব?’
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, শাহিনাজ বকর বলেন, ‘আমাদের বাড়ি, বাজার, বিশ্ববিদ্যালয়, প্রতিষ্ঠান সব ধ্বংস হয়ে গেছে। আমাদের যা আছে সব এখানে আছে, আমরা যদি গাজা শহরে ফিরে যাই, তাহলে তাঁবু ফেলেই বসবাস করতে হবে।’
তিনি হতাশাচিত্তে বলেন, ‘বাস্তুচ্যুত হওয়া কি আমাদের নিয়তি? ১৯৪৮ সালে বাস্তুচ্যুত হয়েছি, এখন আবার ২০২৪ সালে?’ এদিকে, গত ৭ অক্টোবর থেকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় অব্যাহত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। এই ১০০ দিনে প্রায় ২৪ হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে তারা।
গাজায় ইসরাইলি হামলার শততম দিবস উপলক্ষে প্রতিবাদ বিক্ষোভ হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি পর্যন্ত বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভকারীরা দ্রুত এ যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরাইলি হামলায় ২৩ হাজার ৯৬৮ জন নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশই নারী ও শিশু।
শত দিন ধরে চলা ইসরাইলি আগ্রাসনে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে গাজার প্রায় ২০ লাখ মানুষ। ২৩ লাখ গাজাবাসীর প্রায় ৮৫ শতাংশই হারিয়েছে তাদের সর্বস্ব। ধ্বংস করা হয়েছে গাজার প্রায় ৩ লাখ ৫৯ হাজার ঘরবাড়ি।
ইসরাইল জানিয়েছে, তারা গাজার প্রায় ৩০ হাজার লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। ইসরাইলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে তারা ২ হাজার ৩০০ ফিলিস্তিনিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। ইসরাইলি অভিযান অব্যাহত রয়েছে অধিকৃত পশ্চিমতীরেও।
ফিলিস্তিনি প্রিজনার্স সোসাইটির তথ্যমতে, গত ১০০ দিনে ইসরাইলি সেনাবাহিনী পশ্চিমতীর থেকে ৫ হাজার ৮৭৫ জন ফিলিস্তিনিকে গ্রেফতার করেছে। এর মধ্যে ৩৫৫টি শিশু ও ২০০ নারী রয়েছে।