একদিকে ত্রাণ, অন্যদিকে পশ্চিমতীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরে মসজিদে হামলা
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২২ অক্টোবর,রবিবার,২০২৩ | আপডেট: ০৪:১৯ এএম, ১৫ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
গাজায় শনিবার পাঠানো হয়েছে ২০ ট্রাক ত্রাণ। অন্যদিকে ফিলিস্তিনের পশ্চিমতীরে শরণার্থী শিবিরে শনিবার রাতে বিমান থেকে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। তারা বলেছে, দখলীকৃত পশ্চিমতীরে জেনিন শরণার্থী ক্যাম্পে একটি মসজিদে এই হামলা চালিয়েছে। এতে একজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি চিকিৎসকরা।
ওদিকে শনিবার রাতে পেন্টাগন ঘোষণা করেছে তারা মধ্যপ্রাচ্যে আরও বিমান প্রতিরোধ ব্যবস্থা পাঠাচ্ছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা।
এতে আরও বলা হয়, হামাসের হাতে আটক আরও জিম্মিকে মুক্তি নিশ্চিত করতে ইসরাইলের ওপর স্থানীয় এবং কূটনৈতিক পর্যায়ে চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। শনিবার মিশর থেকে রাফা ক্রসিং পয়েন্ট দিয়ে রেডক্রিসেন্টের যে ট্রাকগুলো প্রবেশ করেছে গাজায়, তাতে রয়েছে খাদ্য ও ওষুধ। এতে কোনো জ্বালানি নেই। গাজায় বসবাসরত প্রায় ২৩ লাখ মানুষের কাছে এই ত্রাণ শুষ্ক মরুভূমিতে একফোঁটা পানি ফেলার সমান। দীর্ঘ সময় ধরে অবরোধ থাকার ফলে এসব মানুষের কাছে খাদ্য, পানি, বিদ্যুৎ, জ্বালানি কিছুই নেই। জ্বালানির অভাবে একমাত্র বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বন্ধ হয়ে আছে।
বিজ্ঞাপন
হাসপাতালের জেনারেটর চালানো যাচ্ছে না। সঙ্গে নেই ওষুধপত্র। এসব মিলে সেখানকার মানুষ মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন। এমন এক ত্রাহি ত্রাহি অবস্থার মধ্যে আজ রোববার আরও ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করবে কিনা তা স্পষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না।
এই যুদ্ধে এ পর্যন্ত গাজায় ইসরাইলের বোমা হামলায় নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৪৩৮৫ জন ফিলিস্তিনি। বিপরীত দিকে ইসরাইলে নিহত হয়েছে ১৪০০ মানুষ। এমন অবস্থায় শনিবার দিবাগত রাতে গাজা উপত্যকায়ও বোমা হামলা চালিয়েছে। টার্গেটে পরিণত হয়েছে একটি শপিং প্লাজা। সেখানে কমপক্ষে ৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কয়েক ডজন মানুষ। এই হামলা হয়েছে গাজার কেন্দ্রস্থলে আল নুসেইরাত ক্যাম্পে। হামলায় সেখানে বিকট অগ্নিকাণ্ডের সৃষ্টি হয়। এতে ধ্বংস হয়ে গেছে অনেক দোকানপাট। গাজার দক্ষিণে খান ইউনুসে একটি বাড়িতেও ইসরাইল বোমা হামলা চালিয়েছে। রাতভর চালানো এই হামলায় কমপক্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে আছেন দু’জন নারী ও একটি ৮ বছর বয়সী শিশু। এ রাতেই আকস্মিকভাবে দখলীকৃত পশ্চিম তীরে জেনিন শরণার্থী ক্যাম্পে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, তারা আকাশে একটি এফ-যুদ্ধবিমান দেখতে পান। এরপর ইসরাইলি সেনারা নিশ্চিত করে তারা বিমান হামলা চালিয়েছে।
জেনিন ব্রিগেডের সঙ্গে সম্পর্ক আছে এমন একটি মসজিদকে তারা টার্গেট করেছে। জেনিন ব্রিগেড হলো একটি যোদ্ধাগোষ্ঠী। তাদেরকে ইসরাইল আন্ডারগ্রাউন্ড সন্ত্রাসী গ্রুপ হিসেবে চিহ্নিত করে। তবে পশ্চিমতীরে এই গ্রুপটি সবচেয়ে বড় ও সবচেয়ে জনপ্রিয়। এই হামলার পর কিছু অধিবাসী একটি ম্যাসেজ পান তাদের ফোনে। তাতে জেনিন ব্রিগেডের সঙ্গে সহযোগিতা এড়িয়ে চলতে সতর্কতা দেয়া হয়। এতে শিশুদেরকে ঘরের ভিতর রাখার আহ্বান জানানো হয়।