রাফা সীমান্ত দিয়ে খাবার-পানি-ওষুধ নিয়ে ঢুকল ত্রাণবাহী ২০ ট্রাক
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২১ অক্টোবর,শনিবার,২০২৩ | আপডেট: ০৪:১০ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
ত্রাণ নিয়ে মিশরের রাফাহ সীমান্ত অতিক্রম করে ফিলিস্তিনি অংশে পৌঁছায় ট্রাক। শনিবার সকালে। ছবি: রয়টার্স
গাজায় ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য মিসরের রাফাহ সীমান্ত কিছু সময়ের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। জেরুজালেমে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, তারা স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে গাজা ও মিশরের মধ্যে রাফাহ সীমান্ত খুলে দেওয়ার খবর পেয়েছে।
বিবিসি বলেছে, তাদের প্রতিনিধি একটি ত্রাণবাহী ট্রাক সীমান্ত অতিক্রম করতে দেখেছেন। এতে ওষুধ ও খাবার আছে।
কিন্তু জ্বালানি নেই। আর মিশর অংশে অবস্থানরত স্ট্রিংগারের বরাত দিয়ে সিএনএন বলেছে, ২০টি ট্রাক পৌঁছানোর পর সীমান্ত দ্রুত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সকালে রাফাহ সীমান্ত খোলার সঙ্গে সঙ্গে মিশরীয় অংশের লোকেরা উল্লাস ও শ্লোগান দিয়ে উদযাপন করেন। হামাস নিয়ন্ত্রিত সরকারি গণমাধ্যম জানিয়েছে, অবরুদ্ধ গাজায় যে ২০ ট্রাক ত্রাণ বহর প্রবেশ করেছে তাতে ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং সীমিত পরিমাণে টিনজাত খাবার আছে।
এর আগে সকাল থেকে সীমান্ত অতিক্রমের জন্য অপেক্ষায় ছিল ত্রাণবাহী ট্রাক। জাতিসংঘের একটি সংস্থা বলছে, এই ত্রাণের পরিমান গাজার প্রয়োজনীয় চাহিদার চেয়ে অনেক কম। যাকে জাতিসংঘ ‘সাগরে এক বিন্দু জল ফেলার’ সঙ্গে তুলনা করেছে।
ফিলিস্তিন শরণার্থীদের জন্য ত্রাণ ও কর্ম সংস্থার একজন কর্মী জুলিয়েট তোমা বলেছেন, মানবিক সাহায্যের একটি টেকসই প্রবাহ হওয়া দরকার।
তিনি বলেছেন, ‘গাজার বেসামরিক নাগরিকদের সত্যিই যা প্রয়োজন তা হলো, টেকসই এবং অবিচ্ছিন্ন মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি। বিশেষ করে পানি এবং স্টেশনগুলোর জন্য জ্বালানি।’
তোমা আরো বলেছেন, ‘পানির পাম্পগুলোর জন্য জ্বালানি অপরিহার্য। গাজায় পানি শেষ হয়ে যাচ্ছে। কিছু জায়গায় পানি পুরোপুরি ফুরিয়ে গেছে।
’ দিন প্রতি গাজায় পানির প্রয়োজন ১০০ লিটার। পানির সরবরাহ বন্ধের আগে গাজায় দিন প্রতি ৮৪ লিটার পানি ঢুকত আর যুদ্ধের পর সেই পরিমান কমে দাঁড়িয়েছে প্রতিদিন তিন লিটার।