অবশেষে বিয়ে করলেন ফাতিমা ভুট্টো
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১ মে,সোমবার,২০২৩ | আপডেট: ১০:৫৫ এএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
পাকিস্তানের বিখ্যাত রাজনৈতিক পরিবার ভুট্টো পরিবার। এই পরিবারের প্রায় সব সদস্যই পড়ালেখা করেছেন ইউরোপ, লণ্ডন কিংবা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। আর এই পরিবার থেকে ওঠে এসেছে রাজনৈতিক দলের বড় বড় নেতা। বতর্মান ক্ষমতাসীন জোটের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলওয়াল ভুট্টো এই পরিবারের। আর এ্ই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আগ্রহটাও একটু বেশি পাকিস্তানীদের।
এই পরিবারের এক সদস্য পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোর নাতনি ফাতিমা ভুট্টো সম্প্রতি বিয়ে করেছেন। পাকিস্তানের করাচিতে তার পারিবারিক বাড়িতে এই বিয়ে অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। এ প্রসঙ্গে তার ভাই জুলফিকার আলী ভুট্টো সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে জানান তার বোন বিয়ে করেছেন। তিনি নবদম্পতির কয়েকটি ছবিও প্রকাশ করেন। জানা গেছে, ফাতিমা ভুট্টোর স্বামীর নাম গ্রাহাম (জিবরান) বলে জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত আর কিছু জানানো হয়নি। বর্তমানে ফাতিমা স্বামীকে নিয়ে হানিমুনে আছেন।
ফাতিমা ভুট্টো ১৯৮২ সালে আফগানিস্তানের কাবুলে জন্মগ্রহণ করেন। তবে শৈশবের একটি বড় সময় তিনি মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সিরিয়ায় অতিবাহিত করেন। তার বাবা মর্তুজা ভুট্টো পাকিস্তান পার্লামেন্ট সদস্য ছিলেন। ১৯৯৬ সালে তার বোন বেনজির ভুট্টো যখন প্রধানমন্ত্রি ছিলেন তখন করাচিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন।
জানা যায়, ফাতিমা ভুট্টো ২০০৪ সালে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েট হন। তার বিষয় ছিল মিডল ইস্টার্ন ল্যাঙ্গুয়েসেজ অ্যান্ড কালচার্স। ২০০৫ সালে লন্ডনের এসওএএস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি সাউথ এশিয়ান গভার্নমেন্ট অ্যান্ড পলিটিক্স নিয়ে মাস্টার্স করেন।
Songs of Blood and Sword: A Daughter’s Memoir, The Shadow of the Crescent Moon, The Shadow of the Crescent Moon, The Runaways, তিনি বেশ কয়েকটি গ্রন্থ রচনা করেছেন। লেখক হিসেবে তিনি বেশ সফল। তার জনপ্রিয় কয়েকটি বই রয়েছে।
১৯৯৭ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ হুইসপার্স অব দি ডেসার্ট বেশ জনপ্রিয়তা পায়। তবে বর্তমানে নন-ফিকশনই বেশি লেখেন তিনি।
তার গ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে সংস অব ব্লাড অ্যান্ড সোর্ড: অ্যা ডটার্স মেমোইর, দি শ্যাডো অব দি ক্রিসেন্ট মুন, দি রানওয়েজ, নিউ কিংস অব দি ওয়ার্ল্ড: দি রাইজ অ্যান্ড রাইজ অব ইস্টার্ন পপ কালচার। শেষ বইটি বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হয়। তিনি পাকিস্তানের বৃহত্তম উর্দু পত্রিকা জং ও দি নিউজ পত্রিকায় সাপ্তাহিক কলাম লিখে থাকেন। তিনি ২০০৬ সালে লেবানন গিয়ে লেবাননে ইসরাইলি আক্রমণের খবর পরিবেশন করেন।
তাছাড়া ২০০৭ সালে ইরান ও ২০০৮ সালে কিউবা সফর করেন সাংবাদিক হিসেবে খবর পরিবেশন করার জন্য। তার লেখা নিউ স্টেটসম্যান, ডেইলি বিস্ট, গার্ডিয়ান, ক্যারাভান ম্যাগাজিনেও প্রকাশিত হয়।
তবে তিনি ফেসবুকের প্রতি বিষণ অনীহা প্রকাশ করেন। কখনো এই সামাজিক মাধ্যমে যোগ দেননি। বর্তমানে পাকিস্তানের করাচি শহরে নিজের বাড়ীতেই বসবাস করছেন তিনি।