সৌদি আরবের মরুভূমি ছেঁয়ে গেছে সুগন্ধি ফুলে, পর্যটকের ঢল
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২২ ফেব্রুয়ারী,
বুধবার,২০২৩ | আপডেট: ০৫:৫৮ এএম, ২৪ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
সৌদি-ই’রাক সী’মা’ন্তের কাছাকাছি রাফা অঞ্চলে ওই সুগন্ধি ফুলগুলো ফুটেছে। দিগন্ত বিস্তৃত এই ফুলের সমাহার দেখতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসছেন সৌদির লোকজন।
ফুলটি সৌদি আরবে ‘বুনো ল্যা’ভেন্ডার’ নামে পরিচিত সৌদি আরবের ম’ক্কা নগরী ও তার আশপাশের পাহাড়গুলোতে ভা’রি বৃষ্টিপাত এবং গত ডিসেম্বরের আকস্মিক ব’ন্যার পর সবুজ হয়ে ওঠার খবর জানা গিয়েছিল জানুয়ারিতেই।
অন্য বছরের তুলনায় এবারের শীতে বৃষ্টিও বেশি হয়েছে দেশটিতে। এর প্রভাবে দেশটির উত্তরাঞ্চলের বিশাল-বিস্তৃত ম’রুভূমি ছেয়ে গেছে বেগুনি রঙের সুগন্ধি ফুলে।
শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সংবাদমাধ্যম অল মনিটরস এক প্রতিবেদনে জানায়, সৌদির রাফা অঞ্চলে ঘটেছে এই ঘটনা। এই অঞ্চলটি সৌদি-ই’রাক সীমান্তের কাছাকাছি।
দিগন্ত বিস্তৃত এই ফুলের সমাহার দেখতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসছেন সৌদির লোকজন। সুগন্ধি এই ফুলটির সৌদি আরবে “বুনো ল্যাভেন্ডার” নামে পরিচিত।
বার্তা সংস্থা এএফপির সঙ্গে ওই অঞ্চলে ঘুরতে আসা ৫০ বছর বয়সি অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মুহাম্মাদ আল মুতাইরির কথা হয়েছে। তিনি ছয় ঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে রাফা এসছেন।
তিনি বলেন, “সৌদি আরবে এমন দৃশ্য দেখতে পাব, এমনটা আম’রা আশাও করিনি। এই দৃশ্য আর ফুলের সুগন্ধ আত্মাকে তরতা’জা করে তোলে।”
গত শীতে ব্যাপক বৃষ্টিতে সৌদির পশ্চিমাঞ্চলের অনেক এলাকায় ব্যাপক ব’ন্যাও হয়েছে। কিন্তু উত্তরাঞ্চলে এই বৃষ্টি এনে দিয়েছে প্রা’ণের পরশ।
রাজধানী রিয়াদ থেকে রাফার ম’রুভূমি অঞ্চলের দূরত্ব ৭৭০ কিলোমিটার। বন্ধু বান্ধবসহ নিজের ব্যক্তিগত গাড়িতে এই পরিমাণ পথ পাড়ি দিয়ে উপস্থিত হয়েছেন সৌদি ব্যবসায়ী নাসের আল কারানি। পিকনিকের উদ্দেশ্যে গাড়িতে তাঁবু, খাবার ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য সরঞ্জামও সঙ্গে এনেছেন তিনি।
এএফপিকে তিনি বলেন, “আর মাত্র ১৫ থেকে ২০ দিন এই গাছগুলো টিকে থাকবে, তারপর সূর্যের তাপে শুকিয়ে যাবে।”
ফুলগাছ ঘেরা একটি ফাঁকা জায়গায় স্টোভে চায়ের কেতলি বসিয়ে চা বানান তিনি। চা খেতে খেতে তিনি বলেন, “এখানে আসার পর থেকে নিজেকে খুব নির্ভা’র লাগছে।”
৫৬ বছর বয়স্ক সৌদি নাগরিক হামজা আল মুতাইরিও নিজের পরিবারের সদস্য ও বন্ধু বান্ধবদের নিয়ে বনভোজনের উদ্দেশে এসেছেন রাফায়। এএফপিকে তিনি বলেন, “এখনে আসার পর থেকে জীবনের প্রতি নতুন করে আগ্রহী হয়ে উঠেছি।”
দিগন্তজুড়ে ফুলের এই সমাহার দেখতে এমনকি কাতার থেকেও গাড়ি চালিয়ে ছুটে এসেছেন অনেকে। তেমনই একজন আবদুল রহগমান আল মা’রি।
তিনি বলেন, “এখানে আসতে আমা’র ১২ ঘণ্টা গাড়ি ড্রাইভ করতে হয়েছে; কিন্তু আসার পর থেকে কোনো ক্লান্তি বোধ হচ্ছে না। মনে হচ্ছে, যেন স্বর্গে এসেছি।”