পাকিস্তানের হাতে আছে মাত্র তিন সপ্তাহের টাকা
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৫ ফেব্রুয়ারী,রবিবার,২০২৩ | আপডেট: ০১:১৩ পিএম, ২৪ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত পাকিস্তানে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ কমে ৩০০ কোটি ডলারে নেমেছে। এতে আগামী তিন সপ্তাহের আমদানি ব্যয় মেটানোও সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এদিকে, আইএমএফ ঋণ সহায়তার সঙ্গে কঠিন শর্ত জুড়ে দিয়ে আরও কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।
টালমাটাল অর্থনীতিতে নাভিশ্বাস পাকিস্তানবাসীর। চলতি সপ্তাহেই দেশটির মুদ্রা রুপির মান ইতিহাসের সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে। পাকিস্তানের বার্ষিক মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে ৪৮ বছরের মধ্যে বর্তমানে সর্বোচ্চ পর্যায়ে। এ অবস্থায় মৌলিক চাহিদা মেটাতেও হিমশিম অবস্থা সাধারণ মানুষের।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ডলার সংকটে দীর্ঘদিন ঋণ পরিশোধসহ বৈদেশিক লেনদেনে ভারসাম্য রাখতে পারছে না পাকিস্তান। দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবারও কমে ৩১০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। এই অর্থ দিয়ে তিন সপ্তাহের বেশি আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব নয় বলেও জানানো হয়েছে।
পাকিস্তানের স্টেট ব্যাংকের দেয়া তথ্যানুসারে, বিদেশি ঋণের কিস্তি পরিশোধের পর এখন পাকিস্তানের রিজার্ভের পরিমাণ ১৬ শতাংশ কমে ৩০৯ কোটি ডলারে নেমেছে।
রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক টানাপোড়েনে হিমশিম খাওয়া পাকিস্তানের জন্য মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সহায়তা। ভেঙে পড়া অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে স্থবিরতা কাটিয়ে আইএমএফের সঙ্গে আলোচনা চলছে পাকিস্তান সরকারের।
গত সপ্তাহে আইএমএফের একটি প্রতিনিধি দল ইসলামাবাদে পৌঁছায়। এতে বেশ কিছু কঠিন শর্ত জুড়ে দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল। এরই ধারাবাহিকতায় আইএমএফের প্রাথমিক শর্ত পূরণে শাহবাজ সরকার ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ কার্যকর করতে শুরুও করেছে। এতে রয়েছে কর বাড়ানো ও ভর্তুকি কমানোসহ বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় হারের ওপর মূল্যসীমা তুলে নেয়া, জ্বালানি তেলের দাম ১৬ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো এবং এলপিজির দাম ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি করা।
এ অবস্থায় আইএমএফ যেসব শর্ত দিয়েছে, তা ধারণাতীত বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তারপরও সেসব শর্ত বাস্তবায়ন করা ছাড়া সরকারের হাতে কোনো বিকল্প নেই বলেও স্বীকার করেছেন তিনি।