avertisements 2

এমপি আনার হত্যা

কাঠগড়ায় কাঁদলেন শিলাস্তি বললেন, আমি কি আসামি নাকি

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৪ মে,শুক্রবার,২০২৪ | আপডেট: ১০:৫৬ এএম, ২৪ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪

Text

শিলাস্তি রহমান । ফাইল ছবি

ভারতের কলকাতায় ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজিম আনারকে খুনের উদ্দেশ্যে অপহরণ এবং হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার তিন আসামিকে আট দিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।

আজ শুক্রবার (২৪ মে) বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা আফরোজ তিথি এই আদেশ দেন।

রিমান্ড শুনানির সময় গ্রেপ্তারকৃত আসামি শিলাস্তি রহমানকে ডকে উঠেই অঝরে কান্না করতে দেখা যায়। এ সময় তার আইনজীবী স্বাক্ষর নিতে গেলে তিনি সেই আইনজীবীকে বলেন, ‘আমি কেন স্বাক্ষর করব? আমি কি আসামি নাকি? এসব বিষয়ে কিছু জানি না।’

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসামিদের আজ শুক্রবার (২৪ মে) দুপুরে ২টা ৪০ মিনিটে হাজির করা হয়। বিষয়টি আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন—আমানুল্লাহ ওরফের শিমুল ভূঁইয়া, শিলাস্তি রহমান ও ফয়সাল আলী ওরফে সাজি।


গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক এমপি আনোয়ারুল আজিম হত্যার ঘটনায় আগামী ৪ জুলাই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

এ বিষয়ে আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন বলেন, গত বুধবার (২২ মে) রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় খুন করার উদ্দেশ্যে অপহরণের অভিযোগে মামলাটি করেন এমপি আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।

বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন, “রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের বাসায় আমরা সপরিবারে বাস করি। ৯ মে রাত ৮টার দিকে আমার বাবা আনোয়ারুল আজিম আনার গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহ যাওয়ার উদ্দেশে যাত্রা করেন। ১১ মে বিকেল পৌণে ৫টার দিকে বাবার সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বললে বাবার কথাবার্তা কিছুটা অসংলগ্ন মনে হয়। এরপর বাবার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও বন্ধ পাই। ১৩ মে বাবার ভারতীয় নম্বর থেকে উজির মামার হোয়াটসঅ্যাপে একটি ক্ষুদে বার্তা আসে। এতে লেখা ছিল, ‘আমি হঠাৎ করে দিল্লি যাচ্ছি, আমার সঙ্গে ভিআইপি রয়েছে। আমি অমিত সাহার কাজে নিউটাউন যাচ্ছি। আমাকে ফোন দেওয়ার দরকার নেই। আমি পরে ফোন দেব।’ এ ছাড়া আরও কয়েকটি বার্তা আসে। ক্ষুদে বার্তাগুলো আমার বাবার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অপহরণকারীরা করে থাকতে পারে।”

ডরিন আরও উল্লেখ করেন, ‘বিভিন্ন জায়গায় বাবার খোঁজ করতে থাকি। কোনো সন্ধান না পেয়ে তার বন্ধু গোপাল বিশ্বাস বাদী হয়ে ভারতীয় বরানগর পুলিশ স্টেশনে সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপরও আমরা খোঁজাখুজি অব্যাহত রাখি। পরবর্তীতে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানতে পারি অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজশে বাবাকে অপহরণ করেছে।’
 

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2