গরম চা খাওয়ার বাজি ধরে প্রাণ গেল রোহিঙ্গা যুবকের
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৩ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ১০:২৪ এএম, ২৫ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার নতুন অফিস বাজারে দোকান মালিকের ছোট ভাই কাউছারের সাথে বাজি ধরে গরম 'চা' পানে মোস্তফা (২৪) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। নিহত যুবক ওই দোকানের কর্মচারী ছিল।
পরবর্তীকালে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তাওয়াককুল জুস কর্নার নামে দোকানটির মালিক জমিরকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনার ব্যাপারে ঈদগাঁও থানার ওসি কিছুই জানেন না! তবে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশের সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন।
এ দিকে রহস্যে ঘেরা বিষয়টি নিয়ে অবিলম্বে তদন্ত করা জরুরি মনে করছেন সচেতন মহল।
গেল বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে ঈদগাঁও উপজেলার ফুলছড়ি নতুন অফিস বাজারের তাওয়াককুল জুস কর্নারে ঘটনাটি ঘটে। নিহত মোস্তফা উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা বলে দাবি পুলিশের।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, নতুন অফিস বাজারস্থ শের আলী মার্কেটে তাওয়াককুল জুস কর্নার নামে একটি চায়ের দোকান খুলেন ইসলামপুর ইউনিয়ন বাঁশকাটা গ্রামের মোক্তার আহমদের ছেলে জমির উদ্দীন। ওই দোকানে ছিল রোহিঙ্গা যুবক মো. মোস্তফা।
গেল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে দোকান মালিক জমির, তার ছোট ভাই কাউছার উদ্দিন মিলে কর্মচারী মোস্তফার সাথে তিন সেকেন্ডে গরম চা পান করা নিয়ে ৫০০ টাকার বাজি ধরেন।
দুই তিন সেকেন্ডে গরম চা পান করতে গিয়ে কর্মচারী কণ্ঠনালি পুড়ে যায়। মুহূর্তে যন্ত্রণা শুরু হলে জ্বালা-যন্ত্রণার উপশমে তাকে ঠাণ্ডা পানি ও আইসক্রিম খাওয়ানো হয়। পরে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ঘটনার পরপরই ঈদগাঁও থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই দোকান মালিক জমিরকে আটক করেন। তার ছোট ভাই কাউছার পালিয়ে যান। অবশ্য আটকের বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করেন ঈদগাঁও থানার ওসি গোলাম কবির।
ঈদগাঁও থানার ওসি গোলাম কবির বলেন, যুবকের মরদেহ কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল থেকে সদর মডেল থানা পুলিশ উদ্ধার করেছে। এ বিষয়ে তারাই ভালোভাবে জানতে পারবেন, কোনো কথা থাকলে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশের সাথে যোগাযোগের পরামর্শ দেন তিনি।
পাশাপাশি ওসি এও বলেন, এ ব্যাপারে এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।