খুলনায় পুলিশ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৩ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:৩৭ এএম, ২৬ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
খুলনার কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়লকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। তার বিরুদ্ধে কয়রা থানায় ২০১৩ সালের পুলিশ কনস্টেবল মফিজুল ইসলাম হত্যা মামলার অভিযোগপত্র আদালত আমলে নেয়ায় স্থানীয় সরকার ইউনিয়ন পরিষদ আইন ২০০৯ এর ৩৪ (১) ধারা অনুযায়ী ইউপি চেয়ারম্যান পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
খুলনায় পুলিশ হত্যায় অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত
মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব জেসমিন প্রধান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ দেয়া হয়।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, খুলনা জেলার কয়রা উপজেলাধীন দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়লের বিরুদ্ধে কয়রা থানায় দায়ের করা মামলার অভিযোগপত্রে আদালত আমলে নেয়ায় তার দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচীন নয় মর্মে সরকার মনে করে। এ কারণে আছের আলী মোড়ল সংঘটিত অপরাধমূলক কার্যক্রম ইউনিয়ন পরিষদসহ জনস্বার্থের পরিপন্থী বিবেচনায় স্থানীয় সরকার আইন ২০০৯ এর ৩৪ (৪) ধারার অপরাধ সংঘটিত করায় একই আইনের ধারা ৩৪ (১) অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে ওই পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
চাঞ্চল্যকর পুলিশ হত্যা মামলার অভিযোগপত্র সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ৯ মার্চ আসামি ধরতে গিয়ে দক্ষিণ বেদকাশীর আংটিহারা পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ কনস্টেবল মফিজুল ইসলাম দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হন। পরদিন স্থানীয় আংটিহারা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মো. মমিনুর রহমান বাদী হয়ে কয়রা থানায় মামলা করেন।
ওই মামলার তদন্তে ইউপি চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়লের সম্পৃক্ততার বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদনে আদালতে জমা দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আদলতে গত ২৮ সেপ্টেম্বর তা গৃহীত হলে তার বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
এ মামলায় বর্তমানে সিরাজুল ইসলাম গাজী, নাজমুল ইসলাম, তাছের আলী মোড়ল ও দাদরিজ শেখ জেলহাজতে রয়েছেন। পলাতক ও জামিনে রয়েছেন মামলার অন্য আসামিরা।