avertisements 2

সাকা চৌধুরীর বাড়ি ‘গুডস হিল’ ঘেরাও

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৯ অক্টোবর,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:২৮ পিএম, ১৪ মে,মঙ্গলবার,২০২৪

Text

চট্টগ্রামে সাকা চৌধুরীর বাড়ি ‘গুডস হিল’ ঘেরাও করেছে ‘বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড’ নামে একটি সংগঠনচট্টগ্রামে সাকা চৌধুরীর বাড়ি ‘গুডস হিল’ ঘেরাও করেছে ‘বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড’ নামে একটি সংগঠন

মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসি কার্যকর হওয়া সালাহউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর চট্টগ্রামের বাড়ি ‘গুডস হিল’ ঘেরাও করেছে ‘বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড’ নামে একটি সংগঠন। 

শনিবার (২৯ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে ঘেরাও কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। সেখানে মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও জামালখান ওয়ার্ড কাউন্সিলল শৈবাল দাশ সুমনসহ বিশিষ্টজনরা অংশ নিয়েছেন।

সম্প্রতি চট্টগ্রামে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে সাকা চৌধুরীর ছেলে দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হুম্মাম কাদের চৌধুরীর দেওয়া বক্তব্যের প্রতিবাদে এই কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। কর্মসূচি পালনকারীরা গুডস হিলের প্রবেশপথে দেয়ালে লিখেছেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর নির্যাতন কেন্দ্র রাজাকারের বাড়ি’।

চট্টগ্রামসাকা চৌধুরীর বাড়ি ‘গুডস হিলের’ সদর দরজায় ক্রস চিহ্ন এঁকে দেওয়া হয়েছে

এই কর্মসূচিকে ঘিরে তারা সাকা চৌধীুর বাসা গুডস হিলের সামনে সভা করছেন। সেখানে বিভিন্ন বক্তারা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকালে গুডস হিলের কী ভূমিকা ছিল এবং সাকা চৌধুরীসহ তার পরিবারের কী ভূমিকা ছিল তা তুলে ধরছেন।  

জানা গেছে, কর্মসূচিতে যোগ দিতে শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জামাল খান এলাকার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে একটি মশাল মিছিল বের করেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগর ইউনিট। মিছিলটি নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে তারা একটি সভা করেন।

আন্দোলনকারীরা বলেন, ‌‘বঙ্গবন্ধু, মহান মুক্তিযুদ্ধ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ শব্দগুলো আমাদের অস্তিত্ব। সাজাপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী সাকা চৌধুরীকে তার ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী জনসভায় প্রকাশ্যে শহীদ বলায় আমরা মনে করি, এটা লাল-সবুজের পতাকার অবমাননা। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় চট্টগ্রাম অঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এনে নির্যাতন করা হতো সাকা চৌধুরীর গুডস হিলে। পাকিস্তানি ঘাতক বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে বাঙালি মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবার ও নারীদের ওপর অমানবিক নির্যাতন চালাতেন এই যুদ্ধাপরাধী।’

উল্লেখ্য, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন সাকা চৌধুরী। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধে ২০১৫ সালের ২২ নভেম্বর তার ফাঁসির রায় কার্যকর হয়।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2