জয়পুরহাটে সন্তানকে হত্যা করে মায়ের থানায় আত্মসমর্পণ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৭ অক্টোবর,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:২২ এএম, ২৫ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
ছবি: সংগৃহীত
জয়পুরহাট সদর থানার সামনে বাড়িধারা মহল্লায় ভাড়া বাসায় পারিবারিক কলহে মা মৌমিতা পাল তার কন্যা সন্তানকে হত্যার করে থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন। বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত কনিনিকা পাল হিয়ার বয়স সাড়ে ৪ বছর। জয়পুরহাট পৌর এলাকার বারিধারা এলাকায় নয়ন কুমার পালের সন্তান। তাদের স্থায়ী ঠিকানা বগুড়া জেলার নন্দিগ্রাম উপজেলার আমড়া গোহাইল গ্রামের বাসিন্দা। তারা ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার আমড়া গোহাইল গ্রামের নয়ন কুমার পাল (৩৫) জয়পুরহাট শহরে ২০১১ সালে সোনালী ব্যাংকে ক্যাশ ইনচার্জ পদে যোগদান করেন। এরপর নয়ন তার স্ত্রী মৌমিতা পাল (৩০) তার সাড়ে চার বছরের কন্যা সন্তান রিয়াকে নিয়ে শহরের বারিধারা মহল্লায় অ্যাডভোকেট সন্দিপের বাসায় তিন তলায় একটি ফ্লাটে প্রায় ৫ বছর ধরে ভাড়া বাসা নিয়ে বসবাস করতেন। বর্তমানে তিনি পাঁচবিবি উপজেলাতে সোনালী ব্যাংকে কর্মরত।
বৃহস্পতিবার সকালে নিহত শিশুটির পিতা তার কর্মস্থলে গিয়ে তার সন্তানের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলেন। এর কিছু পরেই থানা থেকে ফোন পান তার সন্তানকে তার স্ত্রী গলায় চার্জারের তার দিয়ে পেঁচিয়ে হত্যা করেছেন।
নিহত শিশুর পিতা নয়ন কুমার বলেন, তার স্ত্রীর সঙ্গে পারিবারিক সমস্যা ছিল। সকালে ব্যাংকে গিয়ে সন্তানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেন। এর কিছু পরই থানা থেকে ফোন পান তার সন্তানকে হত্যা করা হয়েছে। এর সঠিক তদন্ত চান তিনি।
জয়পুরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি সিরাজুল ইসলাম বলেন, শিশুটিকে চার্জারের তার দিয়ে পেঁচিয়ে হত্যার পরই তার মা থানায় এসে আত্মসমর্পণ করে হত্যার বিবরণ দিয়েছেন। মূলত পারিবারিক কলোহে তার সন্তানকে তিনি হত্যা করেছেন। হত্যার পিছনের কারণ খতিয়ে দেখছেন। মরদেহ উদ্ধার করে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।