তদন্তে গিয়ে গৃহবধূর সঙ্গে প্রেম, ধর্ষণ মামলায় র্যাবের এসআই কারাগারে
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৭ অক্টোবর,শুক্রবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:৩৬ এএম, ২৫ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
নীলফামারীর ডোমারে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে মহাবীর ব্যানার্জি (২৭) নামে র্যাবে কর্মরত এক উপ-পরিদর্শককে (এসআই) কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) বিকেল ৩টার দিকে ডোমার থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন উপজেলার চিকনমাটি আরডিআরএস এলাকার ভুক্তভোগী এক গৃহবধূ। পরে সন্ধ্যায় মামলার আসামী মহাবীর ব্যানার্জীকে আদালতে হাজির করে পুলিশ।
অভিযুক্ত মহাবীর ব্যানার্জি বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ জেলা র্যাবে কর্মরত। এর আগে তিনি ডোমার থানায় কর্মরত ছিলেন। মহাবীর দিনাজপুর জেলার কাহারোল উপজেলার কেউটপাড়া এলাকার কালী মোহন ব্যানার্জীর ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, “দাম্পত্য কলহের জেরে এক বছর আগে স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেছিলেন ওই নারী। বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব পান সে সময়ে ডোমার থানায় থাকা এসআই মহাবীর। তদন্তের সুবাধে ওই নারীর সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা মহাবীর।”
এরইমধ্যে গত ছয়মাস আগে ডোমার থানা থেকে এসআই’র বদলী হলেও মোবাইলে যোগাযোগ অব্যাহত ছিলো তাদের।
এক পর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে পূজাঁর ছুটিতে এসে গত বুধবার রাতে বাড়িতে কেউ না থাকার সুবাদে ওই নারীর সাথে অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক করে মহাবীর। বিষয়টি বুঝতে পেরে স্থানীয়রা তাকে আটক করেন।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ জানান, “এর আগেও গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেন মহাবীর। বুধবার রাতের ঘটনার পর বিষয়টি মীমাংসার জন্য বিচারে বসা হয়েছিল। কিন্তু মহাবীর বিয়েতে রাজি হননি। এ কারণে ওই গৃহবধূ থানায় মামলা করেছেন।”
ডোমার ইউপি চেয়ারম্যান মাসুম আহমেদ জানান, “পৌরসভার কাউন্সিলরের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আমি যাই। তাদের কথাবার্তায় মনে হয়েছে তাদের মধ্যে একটা সম্পর্ক ছিলো। পুলিশ কর্মকর্তাকে ওই নারীর নিকটাত্মীয়রা আটক করেন। কোন অভিভাবক না আসায় তাদের পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।”
ডোমার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ উন নবী বলেন, “মামলার প্রেক্ষিতে আসামী মহাবীরকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আদালতে হাজির করা হলে, আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ওই নারীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে।”