ভাইকে অপহরণের মামলায় জামিন, পেয়েই বোনকে অপহরণ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৬ অক্টোবর,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০২:৫৭ এএম, ২৭ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
বোনকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় এসএসসি পরীক্ষার্থী ভাইকে অপহরণ করে একটি ইটভাটায় নিয়ে নির্যাতন করেন মেহেদী পলাশ (২৫)। এ ঘটনায় করা মামলায় জেলেও যান তিনি। সম্প্রতি জামিনে বেরিয়ে ওই পরীক্ষার্থীর বোন স্কুলশিক্ষার্থীকে অপহরণ করেন মেহেদী।
বুধবার বিকালে অপহরণের শিকার অষ্টম শ্রেণীর ওই ছাত্রীর বাবা গোদাগাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন।
অভিযুক্ত মেহেদী পলাশের বাড়ি গোদাগাড়ী উপজেলার লস্করহাটি গ্রামে। তার নামে গোদাগাড়ী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনেও মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
অপহরণের শিকার কিশোরীর বাবা দাবি করেন, মঙ্গলবার তার মেয়ে প্রাইভেট পড়ে বাড়িতে ফিরছিল। এ সময় মেহেদীসহ কয়েকজন মিলে তাকে জোর করে একটা সিএনজিতে তুলে নিয়ে যায়।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গোদাগাড়ী পৌরসভার গড়েরমাঠ মহল্লার ওই এসএসসি পরীক্ষার্থীর অষ্টম শ্রেণিপড়ুয়া চাচাতো বোনকে দীর্ঘদিন ধরে উত্যক্ত করে আসছিলেন মেহেদী পলাশ। এর প্রতিবাদ করলে গত ৭ সেপ্টেম্বর ছয়-সাতজন সহযোগীকে নিয়ে ওই এসএসসি পরীক্ষার্থীকে অপহরণ করে একটি ইটভাটায় নিয়ে নির্যাতন করেন। এ ঘটনায় ওই কিশোরের মা ঘটনার দিন রাতে গোদাগাড়ী থানায় মামলা করেন।
এতে মেহেদী পলাশ, মহিশালবাড়ি আলীপুর মহল্লার আবদুল আওয়াল (২৫), গড়েরমাঠের মো. জাহিদ (১৪), মাদারপুর মহল্লার শাহরিয়ার জয়সহ (১৮) আরও তিন-চারজনকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় গত ২২ সেপ্টেম্বর মেহেদী পলাশকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পেয়ে বাড়িতে ফেরেন মেহেদী।
এরপর মঙ্গলবার বিকালে প্রাইভেট পড়ে বাড়িতে ফেরার পথে উপজেলার পুরোনো জেনারেল হাসপাতালের সামনে থেকে ওই এসএসসি পরীক্ষার্থীর চাচাতো বোন স্কুলশিক্ষার্থীকে অপহরণ করেন মেহেদী।
গোদাগাড়ী থানার ওসি কামরুজ্জামান বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। মেহেদী পলাশকে বাড়িতে পাওয়া যাচ্ছে না। ধারণা করা হচ্ছে, সে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত। পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তার ও মেয়েটি উদ্ধার করার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে।’