ট্রফি ভাঙা সেই ইউএনও মেহরুবা ইসলামকে ঢাকায় বদলি
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৭ সেপ্টেম্বর,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:১৯ এএম, ২৫ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
আলীকদমের ইউএনও মেহরুবা ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় ফুটবল টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণীতে গিয়ে ট্রফি ভেঙে ফেলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহরুবা ইসলামকে ঢাকা বিভাগে বদলি করা হয়েছে। গতকাল সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন-২ শাখার জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব শেখ শামছুল আরেফীনের সই করা অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
এতে বলা হয়, ‘বান্দরবানের আলীকদম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের অধীন ন্যস্ত করা হলো। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে ন্যস্ত কর্মকর্তাকে পদায়নকৃত অধিক্ষেত্রে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালনের জন্য ১৯৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারার ক্ষমতা অর্পণ করা হলো।’
আজকের পত্রিকা অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
গত ২৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে উপজেলার চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের মাংতাই হেডম্যান পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে আবাসিক স্বাধীন যুবসমাজের উদ্যোগে জুনিয়র একাদশ বনাম রেপারপাড়া বাজার একাদশ ফুটবল টিমের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহরুবা ইসলাম।
ফুটবল টুর্নামেন্টের ট্রফি ভাঙলেন ক্ষুব্ধ ইউএনওফুটবল টুর্নামেন্টের ট্রফি ভাঙলেন ক্ষুব্ধ ইউএনও
সমাপনী খেলার প্রথমে দুই দলে ৩৫ মিনিট করে ৭০ মিনিট খেলার পর ড্র হয়ে যায়। এ কারণে রেফারি দুই দলকে টাইব্রেকার খেলার সিদ্ধান্ত দেয়। টাইব্রেকারে আবাসিক জুনিয়র দল তিনটি গোল দেয়, আর রেপার পাড়া একাদশ গোল দেয় একটি। খেলার নিয়ম অনুযায়ী আবাসিক জুনিয়র একাদশ চ্যাম্পিয়ন এবং রেপার পাড়া একাদশ রানার্সআপ হয়।
কিন্তু জয়-বিজয় নিয়ে বিরোধ থেকেই যায়। এক পক্ষ ট্রফি নিতে চায়, আরেক পক্ষ রাজি হয় না। এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্য দিতে মাইক্রোফোন নেন ইউএনও মেহরুবা ইসলাম। তিনি বলেন, ‘খেলায় হার-জিত থাকবে। এতে কারও মন খারাপের কারণ নেই।’ উপস্থিত জনতার কাছে খেলার ফলাফলে সন্তুষ্ট কি না, জানতে চাইলে কয়েকজন খেলার ‘ফলাফল মানি না’ বলে চিৎকার করে। এতে ইউএনও ক্ষিপ্ত হন। তিনি বলেন, ‘আমি ডিসিশন নিয়েছি, এখন ট্রফিগুলো রেখে মেডেলগুলো দিয়ে যাব। আপনারা যত দিন পর্যন্ত সহনশীল না হতে পারবেন, তত দিন এগুলো (ট্রফিগুলো) আমার কাছে আমানত হিসেবে থাকবে। তারপর আরেকটি ম্যাচ হলে তারপর দেব। আপনারা রাজি নাকি?’ তখন জনতার মধ্যে থেকে একপক্ষ ‘না না’ বলে চিৎকার করে ওঠে।
ট্রফি ভাঙার ঘটনায় বিব্রত প্রশাসন, তদন্ত কমিটি গঠনট্রফি ভাঙার ঘটনায় বিব্রত প্রশাসন, তদন্ত কমিটি গঠন
যদি ট্রফি না থাকত, আমরা খেলতাম না?...আমি ট্রফিটা ভেঙে এখন খেলা শুরু করব—এই বলেই ট্রফি দুটি একে একে আছড়ে ভেঙে ফেলেন ইউএনও।
এক আদেশে তাঁকে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে ন্যস্ত করা হয়েছে। সেখান থেকে কোনো একটি উপজেলায় তাঁকে পদায়ন করতে বলা হয়েছে। ফুটবল টুর্নামেন্টের ট্রফি ভেঙে ইউএনও মেহরুবা সমালোচিত হয়েছিলেন।