আওয়ামী বিচারক ভোট চাইলেন নৌকার পক্ষে
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২০ সেপ্টেম্বর,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:৪৩ এএম, ২৭ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
আওয়ামী হাইকোর্টের দলীয় বিচারপতি খোরশিদ আলম খুশি। তাঁর শশুর ছিলেন গাইবান্ধা-৫ আসনের আওয়ামী সংসদ সদস্য। আওয়ামী সংসদের ডেপুটি স্পীকার ছিলেন তিনি। সম্প্রতি তিনি মারা গেছেন। তাঁর মৃত্যুতে শূন্য আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচার সভায় যোগ দিয়ে নৌকা মার্কায় ভোট চেয়েছেন এই আওয়ামী বিচারপতি।
এই আওয়ামী বিচারপতি অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়ার মেয়ের জামাই। শশুরের তদবিরে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক হিসাবে নিয়োগ পেয়েছিলেন ২০১০ সালে। এর আগে তিনি লন্ডনে ইমিগ্রেশন আইনজীবী ছিলেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দেশে ফিরে শশুরের কল্যাণে সরাসরি হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক হিসাবে নিয়োগ পান।
শেখ হাসিনার সরকারের ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠায় অন্যতম সহযোগী বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট। এই আদালতকে ব্যবহার করেই শেখ হাসিনা ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করেছেন। ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠায় আওয়ামী আদালত শেখ হাসিনাকে প্রতিটি পদক্ষেপে সহযোগিতা করেছে এবং করছে।
বানোয়াট মামলায় বিরোধী সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে কারাদণ্ড দ্বিগুণ করেছে এই আওয়ামী উচ্চ আদালত। যা ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা। এছাড়া রাজনৈতিক নেতাদের জুডিশিয়াল কিলিংয়ের হুকুমদাতাও এই আওয়ামী উচ্চ আদালত। এই আদালতের বিচারকরা এখন নৌকা মার্কার পক্ষে প্রচার সভায় উপস্থিত থেকে শেখ হাসিনার পক্ষে ভোট চাচ্ছেন।
বিচারকদের জন্য একটি আচরণবিধি তারাই তৈরি করেছে। এতে স্পষ্ট করেই বলা রয়েছে বিচারকরা কোথায় যেতে পারবেন এবং কোথায় যেতে পারবেন না। রাজনৈতিক সভায় যোগ দেওয়া তো দূরের কথা সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগদান থেকেও বিরত থাকতে বলা হয়েছে এই আচরণবিধিতে। আচরণবিধি লঙ্ঘনের পর কি তাঁর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হবে?