পাসপোর্ট করতে এসে রোহিঙ্গা কিশোরীসহ আটক ২
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৯ সেপ্টেম্বর,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:৩৭ এএম, ২৫ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
মানিকগঞ্জে পাসপোর্ট করতে আসা এক রোহিঙ্গা কিশোরীকে আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়েছে। তার নাম হুমায়রা (১৬)। বাবার নাম হামিদুল্লাহ।
রোববার দুপুরে মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ের কর্মকর্তারা তাকে আটক করেন। এ সময় ওই নারীর সঙ্গে থাকা আবু তাহের (২২) নামের এক দালালকেও আটক করা হয়। সে কক্সবাজারের চকরিয়া থানার গোয়াইলমারা গ্রামের মো. ইলিয়াসের ছেলে।
মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক নাহিদ নেওয়াজ বলেন, জেলার সিঙ্গাইর উপজেলার চান্দহর ইউনিয়নের চর চান্দহর গ্রামের বাসিন্দা পরিচয় দিয়ে পাসপোর্টের আবেদন করেন এক নারী। আবেদনে তার নাম দেওয়া হয় তাসনিম বেগম, পিতার নাম দেওয়া হয় মো. খলিলুর রহমান। তিনি জন্মসনদ, বাবার জাতীয় পরিচয়পত্র ও চান্দহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সনদপত্র দেন। কিন্তু তার কথাবার্তায় সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একপর্যায়ে তার আঙ্গুলের ছাপ পরীক্ষা করে দেখা যায়, রোহিঙ্গা হিসেবে তিনি নিবন্ধিত হয়েছেন। তার নাম হুমায়রা, পিতার নাম হামিদুঠমঠাহ ও রোহিঙ্গা আইডি নম্বর ১৫৫২০১৭১২২৪১১৫৪৫৯।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই নারী স্বীকার করেছেন তিনি রোহিঙ্গা। পরে ওই নারীকে মানিকগঞ্জ সদর থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়া চলমান।
জানা যায়, আবু তাহেরের সহযোগিতায় সিঙ্গাইর এলাকার এরশাদ নামের এক দালালের মাধ্যমে এক লাখ টাকা চুক্তিতে পাসপোর্ট করতে আসেন ওই নারী। এজন্য এরশাদকে অগ্রিম দেওয়া হয় ৬০ হাজার টাকা। তবে পাসপোর্ট কর্মকর্তাদের হাতে ওই নারী আটক হওয়ার পর সটকে পড়েন দালাল এরশাদ। পাসপোর্টের আবেদনে ওই নারী সিঙ্গাইরের চান্দহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত হোসেন বাদল স্বাক্ষরিত একটি সনদ ও সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুর উপজেলার সোনাতনী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে করা জন্মসনদ জমা দেন।
এ বিষয়ে চান্দহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত হোসেন বাদল বলেন, এটা একটা জাল সনদ। ওই সনদে যে স্বাক্ষর রয়েছে সেটা আমার না। যে তারিখ দেওয়া আছে ওই তারিখে আমি কোন সনদ দেই নাই।
এবিষয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রউফ সরকার বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা চলমান রয়েছে।