avertisements 2

কুমিল্লার ছাত্রলীগ নেতা হত্যা মামলার আসামি যুবলীগের শীর্ষ পদে!

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৩ সেপ্টেম্বর,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:৫৯ এএম, ২৭ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪

Text

আবদুস ছোবহান খন্দকার সেলিম (বায়ে) ও নিহত এম. সাইফুল ইসলাম প্রধান

১০ বছর পর গত শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় যুবলীগ। ৪১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটিতে একজনকে আহ্বায়ক, দুই জনকে যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৩৮ জনকে সদস্য করা হয়েছে। কিন্তু সদ্য ঘোষিত এই কমিটি নিয়ে স্থানীয় যুবলীগ নেতা-কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, কুমিল্লায় রাজনৈতিক বিরোধে গত দেড় দশকে যে কয়টি খুনের ঘটনা ঘটেছে; তার মধ্যে আলোচিত একটি হলো ছাত্রলীগ নেতা এম. সাইফুল ইসলাম প্রধান হত্যাকাণ্ড। তৃণমূল থেকে উঠে আসা সাইফুল কুমিল্লা শহর ছাত্রলীগের সভাপতির পদে থাকা অবস্থায় ২০১৫ সালে তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় হওয়া মামলার ৯ নম্বর এজাহারভুক্ত আসামি হলেন আবদুস ছোবহান খন্দকার সেলিম।


এই আবদুস ছোবহান খন্দকার সেলিম সদ্য ঘোষিত কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক পদ পেয়েছেন। আর এতেই ক্ষোভ প্রকাশ করছেন স্থানীয়রা। নিহত ওই ছাত্রলীগের নেতার পরিবারের সদস্যরাও বলেছেন, ‘খুনের পুরস্কার’ দেওয়া হয়েছে ওই নেতাকে। 

এর আগে আবদুস ছোবহান খন্দকার সেলিম কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।


এ কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে কুমিল্লা সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক সহসভাপতি (ভিপি) মো. কামরুল হাসান শাহীনকে। শাহীন সরকারের অর্থমন্ত্রী ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ হ ম মুস্তফা কামালের বড় ভাইয়ের ছেলে। 

কমিটির প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক লাকসাম পৌরসভার মেয়র অধ্যাপক মো.আবুল খায়েরকে। দ্বিতীয় যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুস ছোবহান খন্দকার সেলিম সাবেক রেলমন্ত্রী ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য মো. মুজিবুল হকের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

মামলার প্রসঙ্গে যুগ্ম আহ্বায়কের পদ পাওয়া আবদুস ছোবহান খন্দকার সেলিম বলেন, ওই মামলাটি একটি পলিটিক্যাল (রাজনৈতিক) মামলা। সেটাকে নিয়ে এখন আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

হত্যাকাণ্ডের শিকার ছাত্রলীগ নেতা সাইফুলের ছোট ভাই কুমিল্লা মহানগর যুবলীগ নেতা এম. কামরুল হাসান নান্নু বলেন, যেদিন আমার ভাইকে কুপিয়ে ও গুলি করে গুরুতর আহত করা হয়। পরদিন  তিনি মারা যান। ভাবতে অবাক লাগে আমার ভাইয়ের খুনিরা আজ বড় বড় পদ পেয়ে পুরস্কৃত হয়। এর চেয়ে বেদনার কী হতে পারে?

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সদ্য ঘোষিত কমিটির আহ্বায়ক কামরুল হাসান শাহীন বলেন, ওই মামলাটি ছিল রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক। সেখানে আবদুস ছোবহান খন্দকার সেলিমের মতো অনেক নেতাকর্মীকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে আসামি করা হয়েছে। সেলিম ওই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল না।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2