বকশীগঞ্জে শিক্ষকদের অবহেলায় উপবৃত্তি থেকে বঞ্চিত সাড়ে ৪ হাজার শিক্ষার্থী
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৬ সেপ্টেম্বর,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:৪৯ এএম, ২৮ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
বকশীগঞ্জ উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় সাড়ে চার হাজার শিক্ষার্থী উপবৃত্তি থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে। বকশীগঞ্জ উপজেলা শতভাগ শিক্ষার্থী উপবৃত্তির সুবিধার আওতাভুক্ত থাকলেও শিক্ষকদের অবহেলা ও যথাযথ কাগজপত্র যথা সময়ে উপস্থাপন না করায় শিক্ষার্থীরা সরকারের এই সুবিধা ভোগ করতে পারছে না বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অফিসার রশিদা বেগম।
জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১১০টি, আর শিক্ষক আছেন ৪৮২ জন। এর মধ্যে ৭৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক রয়েছেন। প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় ৩৫টি বিদ্যালয় চলছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। বকশীগঞ্জ উপজেলায় সহকারী শিক্ষক শূন্য রয়েছে ৪৫ জন।
বকশীগঞ্জ শিক্ষা অফিস জানায়, ১১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৮ হাজার ৪১৩ জন। এর মধ্যে ১৪ হাজার ৪০ জন শিক্ষার্থী সরকারের উপবৃত্তির সুবিধা পাচ্ছে। উপজেলা শতভাগ উপবৃত্তির সুবিধার আওতায় থাকলেও ৪ হাজার ৩৭৩ জন শিক্ষার্থী উপবৃত্তির সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে। যথাসময়ে উপযুক্ত কাগজপত্র দাখিল না করায় তারা উপবৃত্তির সুবিধা পাচ্ছেনা। সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিষয়টি সমাধানের ব্যাপারে অনেক ছুটাছুটি করেও সমস্যার কোনো সমাধান পাননি।
এ ব্যাপারে মেরুরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান জানান, ‘শিক্ষার মান উন্নয়নে আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে শিক্ষক সমাবেশও করেছি। উপবৃত্তির বিষয়টি সমাধান হলে শিক্ষার্থীদের মাঝে আগ্রহ আরও বেড়ে যাবে। তাই বিষয়টি দ্রুত সমাধান হওয়া প্রয়োজন।’
বকশীগঞ্জ উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রশিদা বেগম জানান, ‘জন্ম নিবন্ধনসহ নানা কাগজপত্রের সমস্যার কারণে বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তির সুবিধা পাচ্ছে না। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আনার চেষ্টা করছি। আশা করি স্বল্প সময়ের মধ্যেই সমস্যার সমাধান হবে।’