অবশেষে বাবার বাসায় সেই দুই বোন
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৫:৪১ পিএম, ২৭ অক্টোবর,মঙ্গলবার,২০২০ | আপডেট: ০৩:২৮ পিএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
উচ্চ আদালতের আদেশে সঙ্গীত শিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদের দুই ভাতিজিকে তাদের বাবা মোস্তফা জগলুল ওয়াহিদের গুলশান ২–এ ৯৫ নম্বর সড়কের বাসায় উঠিয়ে দিয়েছে গুলশান থানা পুলিশ। তাদের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীটি।
সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের স্পেশাল অফিসার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন। সাইফুর রহমান বলেন, গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোমবার রাত ৯টা ৪০ মিনিটে টেলিফোনে আমাকে জানান, তিনি আদালতের আদেশ প্রতিপালন করে মুশফিকা মোস্তফা ও মোবাশশারা মোস্তফাকে গুলশান ২ নম্বরে ৯৫ নম্বর রোডের ৪ নম্বর হোল্ডিং এর বাড়িতে উঠিয়ে দিয়েছেন। বাড়ির সামনে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করেছেন।
এর আগে তাদের বাসায় অনতিবিলম্বে প্রবেশ নিশ্চিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে সোমবার সন্ধ্যায় এ আদেশ দেন।
একইসঙ্গে রাতেই ওই বাড়িতে তাদের প্রবেশ ও অবস্থান নিশ্চিত করার পর রাতেই গুলশান থানার ওসিকে সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসারকে টেলিফোনে অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। এছাড়া ১ নভেম্বর পর্যন্ত ওই বাসায় দুই বোনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি গুলশান থানার ওসিসহ ১ নভেম্বর দুই মেয়ে এবং ওই বাড়িতে থাকা আঞ্জু কাপুরকে হাইকোর্টে হাজির হতে বলা হয়েছে।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুসারে বাড়িটি প্রায় ১০ কাঠা জমির ওপর। গৃহকর্তার মৃত্যুর পর মালিকানা নিয়ে বিরোধে তার দুই মেয়ে অবস্থান নিয়েছেন বাড়ির সামনে। ওই দুই বোনের দাবি, বাড়ির দখল বাবার দ্বিতীয় স্ত্রী আঞ্জু কাপুরের হাতে। তিনি কিছুতেই ওই বাড়িতে তাদের ঢুকতে দিচ্ছেন না।
গত ১০ অক্টোবর মোস্তফা জগলুলের মৃত্যু হয়। মোস্তফা জগলুল ওয়াহিদ পেশায় পাইলট ছিলেন। ভাইবোনদের মধ্যে শুধু সংগীতশিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ ছাড়া আর কেউ বাংলাদেশে নেই। দুই দিন ধরে বাড়ির সামনে অবস্থান নেয় মোস্তফা জগলুল ওয়াহিদের দুই মেয়ে মুশফিকা ও মোবাশ্বেরা। তারা বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন।
মুশফিকা গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ১৯৮৪ সালে তার মাকে নিয়ে বাবা গুলশানের এই বাসাতেই সংসার শুরু করেছিলেন। তাদের জন্ম এই বাড়িতে। ২০০৫ সালে তাদের মা-বাবার বিচ্ছেদ হয়।
পরে তাদের বাবা আঞ্জু কাপুর নামে এক ভারতীয়কে বিয়ে করেন। তিনি একাই এখন এই বাড়ির ভোগদখল করছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
ঢাকাটাইমস