avertisements 2

রাস্তায় তারকাঁটা ফেলে  রতনের বাস ডাকাতিতে হাতেখড়ি শুরু

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৩ আগস্ট,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:০১ পিএম, ২২ জানুয়ারী, বুধবার,২০২৫

Text

রতন

টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী ২১ বছর বয়সী রতন। দুই ডাকাতির ঘটনায় আড়াই বছর জেল খাটে সে। পরে জামিনে বেরিয়ে গত ৯ মাসে বাসাবাড়ি ও যানবাহনে অন্তত ১০টি ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ছির রতন।

সূত্র জানায়, বাসের হেলপারি করা রতন ডাকাতি শুরু করে ২০১৮ সালে। শুরুতে তারকাঁটার মতো বস্তু রাস্তায় ফেলে সাভার পরিবহনের একটি বাসে ডাকাতির মাধ্যমে তার হাতেখড়ি। সেই ডাকাতির ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে জেলে যায় সে। ওই মামলায় জামিনে বের হয়ে ২০২০ সালে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ছিনতাই করার সময় জনতার হাতে ধরা পড়ে। সে মামলায় আবারও জেলে যেতে হয় তাকে।

দুই দফায় আড়াই বছর জেল খেটে ৯ মাস আগে জামিনে বেরিয়ে আসে সে। জামিনে বের হয়ে গত ৯ মাসে ১০টি ডাকাতি কাজে অংশগ্রহণ করে সে। র‍্যাব ও গোয়েন্দা পুলিশের কাছে এসব স্বীকার করেছে রতন।

রতন টাঙ্গাইলের মধুপুরের মজিবুর রহমানের ছেলে। প্রাথমিকের গণ্ডি পার হতে না পারলেও স্নাতক ‘পাস’ পরিচয় দিয়ে তিনি অনার্স পড়ুয়া এক ছাত্রীকে বিয়ে করেন। পরে ওই ছাত্রীর পরিবার বিষয় জানার পর তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে রতন ত্রিশোর্ধ্ব আরেক নারীকে বিয়ে করেন।

টাঙ্গাইল ঈগল এক্সপ্রেসের বাসে ডাকাতির কয়েক দিন আগে তারা আলিফ ও ঠিকানা পরিবহনের দুটি বাস ডাকাতি করে। টাঙ্গাইলে ডাকাতি ঘটনার নেতৃত্ব ও মূল পরিকল্পনায় ছিল এই রতন।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (উত্তর) ও বাস ডাকাতি ও ধর্ষণ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, বাস ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনাসহ বিভিন্ন ডাকাতি কার্যক্রমে অংশগ্রহণের কথা স্বীকার করছে রতন। এ মামলায় আদলতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে বর্তমানে কারাগারে রয়েছে রতন।

গত ২ আগস্ট রাতে কুষ্টিয়া থেকে ঢাকাগামী ঈগল এক্সপ্রেসের একটি বাসে যাত্রী বেশে উঠে ডাকাত দল যাত্রীদের মারধর করে তাদের সঙ্গে থাকা জিনিসপত্র লুট করে। বাসে থাকা এক নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করে তারা।এ ঘটনায় র‍্যাব ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ তিন দফায় ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করে।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2