avertisements 2

বিয়ের আসরে বরের দুই বিয়ের খবর ফাঁস, অতঃপর....

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৯ আগস্ট,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৩:১০ পিএম, ২২ জানুয়ারী, বুধবার,২০২৫

Text

কনের বাড়িতে মারধরের শিকার হয়ে থানার সামেন বসে আছেন বরের এক আত্মীয়

ভাই-বোনসহ প্রায় ২০ জন অতিথি নিয়ে এসেছে বরযাত্রী। খাওয়া দাওয়া শেষে সন্ধ্যার পর কনের উপস্থিতিতে বিয়ে নিবন্ধন শুরু হলেই বাদ সাধেন কনে। জানতে পারেন তার হবু স্বামী এর আগেও আরো দুটি বিয়ে করেছেন। আর তখনই বিপত্তি।

অবস্থা বেগতিক বুঝে বর সটকে পড়তে চাইলে হামলার শিকার হয় বরযাত্রী। মারধরে অসুস্থ হয়ে পড়লে বরের অন্তঃসত্ত্বা বোনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এদিকে কনের বাড়িতে বরসহ অন্যদের আটকে রাখে কন্যাপক্ষ। পরে ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে রাতেই তাদের উদ্ধার করে থানায় নেয় পুলিশ। রবিবার (৭ আগস্ট) রাতে এ ঘটনা ঘটে ময়মনসিংহের নান্দাইলের সিংরুইল ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার শেরপুর ইউনিয়নের বিষ্ণপুর গ্রামের মো. ওয়াহেদ আলীর ছেলে মো. স্বপন মিয়ার (২৮) বিয়ে ঠিক হয় পাশের সিংরইল ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামে। বিয়ে নিবন্ধনের আগেই ঘটে এই ঘটনা। বিয়ের আগ মুহূর্তে কনে জানান, এই বিয়েতে তার সম্মতি নেই। কারণ তিনি জানতে পেরেছেন তার হবু স্বামী এর আগেও আরো দুটি বিয়ে করেছেন। তার অত্যাচারে স্ত্রীরা কয়েক মাস সংসার করার পর চলে গেছেন। বিষয়টি টের পেয়ে বিয়ের আসর থেকে পালাতে চান বর স্বপন। পরে তাকে মারধর করে আটকে রাখে কনেপক্ষ।

এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বরের ভাবি মাজেদা খাতুন বলেন, এ সময় তাদের কাছে নগদ কোনো টাকা না থাকায় বাড়িতে গিয়ে ধার্যকৃত টাকা পাঠানোর আশ্বাস দিলেও তা মানেনি কনেপক্ষ। এক পর্যায়ে বিকাশে এনে ২০ হাজার টাকা দিলেও কনের লোকজনের কবল থেকে মুক্তি মেলেনি। পরে ৯৯৯-এ ফোন দিলে পুলিশ গিয়ে সকলকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে বর স্বপন মিয়া জানান, ঘটক দুটি বিয়ের কথা না বলে একটি গোপন রেখেছিলেন। একটিতে কনের লোকজনের কোনো আপত্তি ছিল না। কিন্তু দুটি বিয়ের কথা শুনেই ক্ষিপ্ত হয়ে এ ধরনের কর্মকাণ্ড করে। এতে তার শারীরিক ও মানসিক ছাড়াও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

কনের এক চাচা বলেন, 'আমাদের তো সর্বনাশ করছে। আমরা কী দিয়ে সান্ত্বনা নেব? এ ঘটনার বিচার কে করবে?' বরের লোকজনকে মারধর করা প্রসঙ্গে বলেন, মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে বিয়ে করতে এলে গ্রামের লোকজনের সাথে ধাক্কাধাক্কি হয়। মারধরের ঘটনা ঘটেনি।

নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান আকন্দ বলেন, বরের প্রতারণার ঘটনায় আইনের আশ্রয় নিতে পারত। কিন্তু আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া ঠিক হয়নি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2