avertisements 2

টাকার মালা, রঙের খেলা

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৩১ জুলাই,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ১২:১৯ এএম, ২৫ ডিসেম্বর, বুধবার,২০২৪

Text

‘ভালোবাসার দায়ে, আমি দেউলিয়া হয়ে যাবো। ’ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার কাইতলা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থী আল ইমরান কথাটি লিখে শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে নিজের আইডি থেকে এ স্ট্যাটাস দিয়েছেন। এতে জুড়ে দেওয়া ছবিতে দেখা যায়, তিনি গলায় টাকার মালা পড়ে আছেন। কাউকে সালাম করছেন, কেউ তার মাথায় দুধ ঢেলে দিচ্ছেন, কেউ ধান দুর্বা দিয়ে বরণ করছেন, কেউবা মিষ্টি মুখ করাচ্ছেন।

তার সারা শরীরে রঙ। আগের দিন দেওয়া আরেকটি স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘ছুটে চলছি ঋণ শোধ করার আশায়। উল্টো আরো ঋণী হয়ে যাচ্ছি, সাদা পাঞ্জাবি ভালোবাসার রঙ্গে রঙিন। ’ এ পোস্টেও তিনি নির্বাচনে জয় উদযাপনের বেশ কিছু ছবি দিয়েছেন।
 
গত ২৭ জুলাই হওয়া নির্বাচনে আল ইমরান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন। তিনি আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবুল খায়ের মুন্সীকে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। আল ইমরান পেয়েছেন ২৫১৯ ভোট ও আবুল খায়ের পান ১৬৩৭ ভোট।
জয়ের পর এভাবে উদযাপন নিয়ে স্থানীয়ভাবে চলছে নানা আলোচনা সমালোচনা। গত চারদিন ধরে এভাবে ‘জয় উৎসব চলছে। ’ গলায় টাকার মালা দেওয়া ও রং দিয়ে টাকা নষ্ট করার বিষয়টি অনেকেই ভালো চোখে দেখছেন না।

কাইতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সোহেল রানা বলেন, ‘নির্বাচনের শুরুতে দলের সবাই ঐক্যবদ্ধ ছিলেন। পরে অনেককে পাওয়া যায়নি বলে দলের প্রার্থী হেরেছেন। ’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ভদ্র সমাজ এভাবে জয় উদযাপন সাপোর্ট করে না। টাকা নষ্ট করে আনন্দ উল্লাস করাটা আমিও সাপোর্ট করি না। ’

নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, গ্রামবাসীর দ্বারে দ্বারে যাওয়া শেষে উপজেলা পর্যায়ে শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছে তিনি ছুটে যাবেন। শনিবার সন্ধ্যায় মোবাইল ফোনে কথা বলে তিনি বলেন, ‘আমি কোনাউর গ্রামের বাসিন্দা। বহু বছর পর এ গ্রামের কেউ চেয়ারম্যান হলো। যে কারণে সবাই মিলে আনন্দ করছে। আমি বিজয় মিছিল করতে না করেছি। যে কারণে ঘরে ঘরে ছুটে যাচ্ছি। ’
 এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মানুষ আমাকে টাকার মালা পরিয়ে দিচ্ছে। যারা দিন আনে দিন খায় তারা টাকা দিচ্ছে। যাদের আর্থিক সামর্থ আছে তারা পাঁচ-১০ হাজার টাকাও দিচ্ছে। আমার কেন্দ্রে ৭৮ ভাগ ভোট পড়েছে। দেশের বাইরে থাকা ভোটার, মৃত ও হাসপাতালে থাকা কয়েকজন ছাড়া সবাই ছুটে এসেছে ভোট দেওয়ার জন্য। সবার মাঝে একটা আনন্দ ছিলো। ভোটের আগেও মানুষ আমাকে টাকা দিয়েছে। ’

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2