চার বন্ধু একসঙ্গে চলতেন, একসঙ্গেই মারা গেলেন
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৩০ জুলাই,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ১২:২৭ এএম, ২৫ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
কোচিংয়ের চার শিক্ষক (বাম থেকে) রাকিব, সজিব, রেদোয়ান ও জিসান। জিসানের ফেসবুক থেকে নেওয়া ছবি
দেড় মাস আগে চার বন্ধু মিলে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন কোচিং সেন্টারটি। গত ১৫ জুন বন্ধুদের নামের প্রথম অক্ষর দিয়ে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে আমানবাজার জোগিরহাট এলাকায় চালু করেন আর অ্যান্ড জে কোচিং সেন্টার। চার শিক্ষক হলেন-রাকিব খান, তৌহিদুল আলম জিসান, জিয়াউল হক সজিব এবং রেদোয়ান চৌধুরী।
শুক্রবার সকাল ৯টায় খৈয়াছড়া ঝরনায় যাওয়ার আগে কোচিংয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কোচিংয়ের সামনে একটি ছবিও তুলেছিলেন তারা।
ছবিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেছিলেন রাকিব খান। কে জানত নিজেদের কোচিং সেন্টারের সামনেই এটিই তাদের শেষ ছবি।
চার বন্ধুই মারা গেছেন ট্রেনের ধাক্কায়। দুর্ঘটনাটি ঘটে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া এলাকায়। পূর্ব খৈয়াছড়া গ্রামের ঝরনা থেকে কিছুটা দূরেই ছিল রেলের লেভেলক্রসিং। রেললাইনে ট্রেন আসছিল কিনা তা জানা ছিল না তাঁদের কারোই। রেলপথ পাড় হতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসে থাকা ১১ জন মারা যান। তাদের মধ্যে ছিলেন এই চার বন্ধু।
জানা গেছে, নিহত ও আহত সকলের বাড়ি চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার আমান বাজার খন্দকিয়ায়। শুক্রবার এসএসসি পরীক্ষার্থীদের নিয়ে কোচিং সেন্টারের চার শিক্ষক জিসান, সজীব, রাকিব এবং রেদোয়ান মিরসরাইয়ে খৈয়াছড়া পানির ঝরনা দেখতে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে দুপুরে ট্রেনের ধাক্কায় তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শহিদুল আলম বলেন, ‘আর এ- জে কোচিং সেন্টারের শিক্ষক ও ছাত্ররা সেখানে ঘুরতে গিয়েছিলেন। গাড়িতে কোচিং সেন্টারের ৪ জন শিক্ষক ছিল। বাকিরা শিক্ষার্থী। ’
নিহত এসএসসি পরীক্ষার্থী হিশামের বন্ধু সাজিদ বলেন, আমারও ওদের সঙ্গে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আজকে এলাকায় একটা ফুটবল টুর্নামেন্ট থাকায় আমি আর যাই নাই। আমি আমার বন্ধুদের হারিয়ে ফেললাম। আর ওদের দেখতে পাব না বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।