avertisements 2

মাগুরায় পুলিশের এডিসি ও তার সাবেক দেহরক্ষীর মৃত্যু, রহস্য কী?

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২১ জুলাই,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ১২:৪৩ এএম, ২৫ ডিসেম্বর, বুধবার,২০২৪

Text

কয়েকঘন্টার ব্যবধানে খুলনার মেট্রোপলিটন পুলিশ—কেএমপির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) এবং তারই সাবেক দেহরক্ষী মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। লাবনীর মৃত্যুর পেছনে কারো বা কোনো ধরনের প্ররোচনা আছে কি না অনুসন্ধান করছে পুলিশ।

মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষ না হওয়ায় এখনো তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়নি। একসঙ্গে দুইজনের মৃত্যুতে কোনো যোগসূত্রতা আছে কি না তদন্ত কর্মকর্তা নিযোগের পর তিনিই বিষয়টি দেখবেন বলে পুলিশের ভাষ্য।

বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে বারোটা থেকে একটার মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তা লাবনীকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। মাগুরার শ্রীপুরের সারঙ্গাদিয়ায় নানাবাড়ির একটি ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় পাওয়া গেলে পরিবারের লোকজন তাকে হাসপাতালে নেয়। পরে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনার পাঁচ ঘন্টা পর এডিসি লাবনীর সাবেক দেহরক্ষী মাহমুদুল মাগুরায় তার ব্যারাকের ছাঁদে নিজের অস্ত্রের গুলিতে আত্মহত্যা করেন। পুলিশের এই সদস্য খুলনায় চাকরিরত অবস্থায় এডিসি লাবনীর দেহরক্ষী ছিলেন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে। দেড় মাস আগে মাগুরায় বদলি হয়ে আসেন।

জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কনস্টেবল মাহমুদুল হাসান নিজের নামে থাকা শর্টগান শরীরে ঠেকিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। রাতের ডিউটি শেষ করে সবাই চলে যায় অস্ত্রাগারে অস্ত্র জমা দিতে। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টার দিকে মাহমুদুল লুকিয়ে ব্যারাকের ছাদে গিয়ে শর্টগান দিয়ে গুলি করে আত্মহত্যা করেন।

পুলিশ যা বলছে

মাগুরা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কলিমুল্লাহ ঢাকা টাইমসকে বলেন, এডিসি লাবনীর মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পায় তার স্বজনরা। পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ এখনো পোস্টমর্টেম হয়নি। তিনি (লাবনী) রাত সাড়ে বারোটা থেকে একটার মধ্যে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে আমরা ধারণা করছি। ওই বাড়িতে লাবনীর মা-বাবা, আত্মীয়-স্বজনসহ অনেকেই থাকতেন।

লাবনীর আত্মহত্যায় কারও প্ররোচনা আছে কি না এমন প্রশ্নে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘না, আমরা এখনো এমন কিছু পায়নি। তবে তদন্তে অনেক কিছু বের হতে পারে। ময়নাতদন্ত শেষ হলে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে।’

লাবনীর মৃত্যুর কয়েকঘন্টার ব্যবধানে তার সাবেক দেহরক্ষীর নিজেই আত্মহত্যার ঘটানয় কোনো রহস্য আছে কি না জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কলিমুল্লাহ বলেন, ‘এখনই কিছু বোঝা যাচ্ছে না। ঘটনা এক জেলায় হলেও পৃথক জায়গায় হয়েছে। যিনি তদন্ত কর্মকর্তা হবেন তিনি অবশ্যই এবিষয়গুলো দেখবেন। আর এসব বিষয় অনুসন্ধানের দায়িত্ব তো তদন্ত কর্মকর্তারই।’

লাবনীর দাম্পত্য জীবনে কোনো সমস্যা ছিল কি না জানতে চাইলে জেলা পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘যতটুকু জেনেছি তেমন কিছু ছিল না। খুলনায় তারা স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে বাচ্চাদের নিয়ে থাকতেন। সম্প্রতি উনার (লাবনী) স্বামী অসুস্থ থাকায় তিনি ভারতে চিকিৎসা নিতে গেছেন। আর উনি (লাবনী) বাচ্চাদের নিয়ে বাড়িতে এসেছিলেন।’

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2