রাষ্ট্রপতির ছেলের ড্রাইভারকে মারধর, ছাত্রলীগ কর্মীর নামে মামলা
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৮ জুন,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৭:৪৬ পিএম, ২২ এপ্রিল,মঙ্গলবার,২০২৫

রাষ্ট্রপতির ছেলের গাড়ির ড্রাইভারকে আটকে রেখে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে কৌশিক সরকার সাম্য নামের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ছাত্রলীগের এক কর্মীর বিরুদ্ধে। পরে ভুক্তভোগী ড্রাইভার নজরুল ইসলাম সোমবার (২৭ জুন) ওয়ারী থানায় সেই ছাত্রলীগ কর্মীর নামে মামলা দায়ের করেন।
অভিযুক্ত কৌশিক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইনের কর্মী। তবে সাম্য ছাত্রলীগের কেউ নয় বলে দাবি করেন শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসাইন ।
মারধরের শিকার সেই ব্যাক্তি রাষ্ট্রপতির ছেলে রিয়াদ আহমেদ তুষারের গাড়ির ড্রাইভার বলে জানিয়েছে ওয়ারী থানা পুলিশ।
ওয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবীর হোসেন হাওলাদার মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ওয়ারীর জবির শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম হলের কাছে গাড়িতে ড্রাইভার থাকার সময় আসামি সাইড দিতে বলেন। পরে তুচ্ছ ঘটনায় ড্রাইভারকে মারধর করা হয়। তারপর তাকে নজরুল ইসলাম হলে ধরে নিয়ে আরেক দফা মারধর করা হয়। এছাড়া প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। এই অভিযোগ করে ড্রাইভার নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
তিনি আরও বলেন, একজনের নাম উল্লেখসহ আরও কয়েকজনকে অজ্ঞাতপরিচয় করে আসামি করা হয়েছে। তবে এ মামলায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।
টনার বিষয়ে ওয়ারী থানার ফাঁড়ির পুলিশের উপ-পরিদর্শক জহির হোসেন বলেন, তুচ্ছ ঘটনায় ড্রাইভারকে মারধর করা হয়েছে। বাদী খুব ভয় পেয়ে যান। এমনভাবে মারতে থাকেন যেন আর বাঁচবেন না বলে আমাদের কাছে ভীতি প্রকাশ করেন। ড্রাইভার রাষ্ট্রপতির ছেলে রিয়াদ আহমেদ তুষারের গাড়ির ড্রাইভার বলে আমাদেরকে জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, এ ঘটনার বিষয়ে ওয়ারী থানা থেকে শুনেছি। গাড়ির ড্রাইভার রাষ্ট্রপতি স্যারের ছেলের ড্রাইভার বলে থানা জানিয়েছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইন বলেন, কৌশিক সরকার সাম্য নামের ওই ছেলে ছাত্রলীগের কোনো কর্মী না। গত কয়েকটি কোনো প্রোগ্রামেও আসেনি তিনি । পদ্মা সেতুর উদ্বোধন প্রোগ্রাম, ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে ফুল দেওয়ার প্রোগ্রামসহ কোনো প্রোগ্রামে ছিলেন না তিনি। তবে কোনো শিক্ষার্থী যদি আমার সঙ্গে ছবি তুলতে আসেন তাহলে মানা করা যায় না। তিনি যদি আসামি হয় তাহলে ছাত্রলীগ এর দায়ভার নেবে না।
এদিকে কৌশিক সরকার সাম্য এর আগে সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার হন।