avertisements 2

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ শুনে অধ্যক্ষের ব্যতিক্রমী কাণ্ড, হলেন প্রশংসিত

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৮ জুন,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৮:৪৬ পিএম, ২৬ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪

Text

ছবি : সংগৃহীত

ক্লাসরুমের ফ্যান ধীরে চলে, বাতাস পাওয়া যাচ্ছে না- শিক্ষার্থীরা এমন অভিযোগ দিতেই নিজের রুমের ফ্যান খুলে মাথায় বয়ে নিয়ে এসে লাগিয়ে দিলেন অধ্যক্ষ নিজেই।

মঙ্গলবার (২৮ জুন) দুপুরে নোয়াখালীর মাইজদী কোর্টের সায়েন্স অ্যান্ড কমার্স কলেজে এ ঘটনা ঘটে। তবে হাস্যোজ্জ্বল অধ্যক্ষের মাথায় ফ্যান, পাশে কয়েকজন শিক্ষার্থী কলেজের বারান্দায় এমন একটি ছবি সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেছেন ওই অধ্যক্ষ নিজেই।

অধ্যক্ষ ড. আফতাব উদ্দিন ফেসবুকের পোস্টে লেখেন, ‘আমাদের দিন কাটে আনন্দে! ক্লাস টেনের স্টুডেন্টরা বলল, “স্যার, আমাদের একটা ফ্যান আস্তে ঘোরে। আমি সাথে সাথে নিজের রুমের একটা ফ্যান খুলে মাথায় নিয়ে ওদের রুমে হাজির হলাম। কয়েকটা মেয়ে পাশে দাঁড়িয়ে বলল, স্যার, ছবি তুলি? আমি বললাম, তোলো! ওরাও খুশি, আমিও খুশি।’’

পদ-পদবি নিয়ে কাড়াকাড়ি, বাইরের কৃত্রিমতা, অশোভন প্রতিযোগিতাকে ইঙ্গিত করে অধ্যক্ষ ড. আফতাব উদ্দিন আরও লেখেন, ‘বড় কোনো পদপদবি নেই, চাকচিক্য নেই, কম্পিটিশন নেই, বাচ্চাদের সঙ্গে আনন্দে সময় কাটাই। সবাই ভালো থাকবেন।’

ফেসবুকে ছবি পোস্ট করার পর প্রক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সুধীমহলে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন ড. আফতাব উদ্দিন। মুহিবুল্লাহ খান ভুট্টো নামে একজন মন্তব্য করেছেন, ‘ভার-ভারিক্কি আর পদ-পদবির জেরে বা বিপদে থেকে অনেকে এ আনন্দ উপভোগ করতে পারে না। অনেকে বোঝেই না শিক্ষকতার আনন্দ! তারা দারোগাগিরি আর হম্বিতম্বিতে পার করে তাদের সময়গুলো। হাসতে হাসাতেও পারে না কাউকে। সহকর্মী ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আসলে আনন্দে সময় কাটাতে পারাটাই আমি সাফল্য মনে করি।’ এ এস এম কামাল উদ্দিন লিখেছেন, ‘একজন অধ্যক্ষকে অলরাউন্ডার হতে হয়, আপনি তেমনই একজন শিক্ষক। শুভকামনা।’

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2