অনলাইনে কেনা থ্রি-পিসের দাম দিতে গিয়ে স্বামী-সংসার হারালেন তরুণী
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ২২ অক্টোবর,বৃহস্পতিবার,২০২০ | আপডেট: ১০:১৩ এএম, ২২ এপ্রিল,মঙ্গলবার,২০২৫

অনলাইনে কেনা একটি থ্রি-পিসের দাম দিতে গিয়ে সংসার ভেঙেছে এই নারীর, তালাক দিতে হয়েছে স্বামীকে। জরিমানা দিতে হয়েছে থ্রি-পিস বিক্রেতা রতনকেও।
রোববার রাতে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার বাদিয়াজান গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সোমবার বিকেলে স্থানীয় মাতব্বররা সালিস ডেকে স্বামীর সঙ্গে ওই নারীর বিচ্ছেদ ঘটান। একইসঙ্গে ব্যবসায়ী রতনের কাছ থেকে দুই লাখ ৮০ হাজার টাকা।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী নারী বলেন, অনলাইনে কাপড় নিছিলাম। কাপড়ের টাকার জন্যই আসছিলো রতন। ঘরের ভেতরেও আসে নাই, দরজার কাছে ছিল। আমার দেবর তাকে ধাক্কা দিয়ে বাইরে থেকে দরজা লাগিয়ে দেয়। এরপর অনেকবার ডাকলেও সে দরজা খোলে নাই। সারারাত আমাকে ও রতনকে এক ঘরে আটকে রেখেছে। সকালে বাড়ির সবাইকে ডেকে এনে একটা মিথ্যা নাটক সাজিয়ে আমার সংসার ভেঙেছে।
তিনি বলেন, আমার ভুল ছিল- আমি বাড়ির কাউকে না জানিয়ে রতনকে রাতে টাকা দেয়ার জন্য আসতে বলেছি। এ ঘটনা না ঘটলে তো আমার সংসার ভাঙতো না। আমার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা চাপ দিয়ে আমাকে তালাক দিতে বাধ্য করেছে। আমার বিরুদ্ধে স্বামীর পাঠানো ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে।
ওই নারী আরো বলেন, আমার সঙ্গে রতনের কোনো সম্পর্ক ছিল না। সে আমাকে ধ’র্ষ’ণ করেনি, শরীরে স্পর্শ পর্যন্ত করেনি। সারারাত সে নিচে ছিলো, আমি খাটের উপরে ছিলাম।
এ বিষয়ে ব্যবসায়ী রতন বলেন, বাদিয়াজান গ্রামে আমার শ্বশুরবাড়ি। সেই সুত্রেই ওই নারীর সঙ্গে পরিচয়। তিনি আমার কাছ থেকে বাকিতে একটা থ্রি-পিস নিয়েছিলেন। রোববার রাতে কাজ শেষে থ্রি-পিসের টাকা আনতে তার বাড়িতে যাই। এরপরই তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন ও স্থানীয়রা আমাকে আটকে সালিস বৈঠক ডাকে।