avertisements 2

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রথম জেলা প্রশাসক হলেন শ্রাবস্তী রায়  

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৩ জুন,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৭:১১ এএম, ২৫ ডিসেম্বর, বুধবার,২০২৪

Text

শ্রাবস্তী রায়

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের মধ্যে থেকে প্রথমবারের মতো জেলা প্রশাসক নিয়োগ পেয়েছেন রাঙ্গামাটির মেয়ে শ্রাবস্তী রায়। এই ঘটনাকে দেশের বিভিন্ন স্হানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের তথা সাধারণ স্রোতধারা থেকে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকারের সুদৃষ্টির একটি অনন্য নজির হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

দৈনিক ইত্তেফাকের সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
শ্রাবস্তী রায় বিসিএস ২৪তম ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা। তিনি চাকমা সম্প্রদায়ের। তার জন্মস্হান রাঙ্গামাটিতে। শ্রাবস্তী রায় গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে কক্সবাজার জেলা পরিষদে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। গত ১৯ মে চার জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দেয় সরকার। এর মধ্যে কক্সবাজার জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (উপ-সচিব) শ্রাবস্তী রায়কে জামালপুরের জেলা প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। শ্রাবস্তী রায় এর আগে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্হানীয় সরকারের উপ-পরিচালক, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার অফিসের স্হানীয় সরকারের উপ-পরিচালক, রাঙ্গামাটি আঞ্চলিক পরিষদের সহকারী নির্বাহী কর্মকর্তা, সিলেটের দক্ষিণ সুরমা ও ধর্মপাশার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।


উল্লেখ্য সরকারের উপসচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের জেলা প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়। জেলা পর্যায়ে ডিসিরা কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেন। এর আগে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী থেকে একাধিক পুরুষ কর্মকর্তা ডিসি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে।

নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে শ্রাবস্তী রায় বলেন, বদলি-পদায়ন প্রশাসনের একটি নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়। পাহাড়িদের মধ্যে প্রথম নারী জেলা প্রশাসক হিসেবে আমাকে পদায়নের জন্য আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। নারীদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করার সুযোগ প্রদান করার প্রধানমন্ত্রীর যে নির্দেশনা ছিল, সেই নির্দেশনা বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতা আমাকে যোগ্য মনে করে কাজ করার সুযোগ দিয়েছেন, এ জন্য আমি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। 


তিনি বলেন, জেলা প্রশাসকের কাজে সরকারের নীতিনির্ধারণী বিষয় এবং নির্দেশনা থাকে। সেগুলো আমরা পালন করি। তথাপি যদি আমাদের আলাদা করে কাজ করার সুযোগ থাকে সেটা করবো। বিশেষ করে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী যেমন—প্রতিবন্ধী কিংবা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন যেসব মানুষ আছে, প্রান্তিক পর্যায়ে সুবিধাবঞ্চিত যেসব মানুষ আছে তাদের নিয়ে কাজ করার সুযোগ থাকলে আমি কাজ করবো। 

শ্রাবস্তী রায়ের পদোন্নতি বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ, পদোন্নতি ও প্রেষণ (এপিডি) অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আনিছুর রহমান মিঞা বলেন, শ্রাবস্তী রায় ভালো অফিসার বলেই তাকে জেলা প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। 

তিনি বলেন, নারী-পুরুষের সমতা আনার এসডিজির এজেন্ডা। শুধু এসডিজি বাস্তবায়নই নয়, সরকার যোগ্যতার বিচার করে নারী কর্মকর্তাদের পদায়ন করছে। একইসঙ্গে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর পিছিয়ে পড়া নারীরা এতে উত্সাহিত হবেন। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পরিবার নারীদের আরো বেশি করে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করবেন বলে আমরা মনে করি।

 

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2