চেয়ারম্যানের ছেলেকে কুপিয়ে হত্যার পর এরশাদের ‘আত্মহত্যা’
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৯ মে,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:৫৯ এএম, ২৫ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
পরিবারের সঙ্গে কালো কোর্ট পরিহিত রাফসান দুর্বৃত্তের হাতে খুন হন
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার ঢেউখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিজান বয়াতির বাড়িতে ঢুকে তার ছেলে রাফসানকে (১০) কুপিয়ে হত্যা করেছে এরশাদ মোল্যা নামে এক ব্যক্তি। এ সময় তার স্ত্রী দিলজান বেগম ওরফে রত্নাও গুরুতর আহত হয়েছেন। তার অবস্থাও সংকটাপন্ন। বুধবার (১৮ মে) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এরপর সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে একটি টাওয়ার থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এরশাদ।
জানা গেছে, চেয়ারম্যান মিজান বয়াতী ঢাকায় অবস্থান করছেন। বাড়িতে ১০ বছরের শিশুসন্তান রাফসানকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন স্ত্রী দিলজাহান রত্না। বিকেল ৪টার দিকে ওই গ্রামের সানু মোল্যার ছেলে এরশাদ মোল্যা ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে চেয়ারম্যানের স্ত্রী ও ছেলেকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। এ সময় চেয়ারম্যানের স্ত্রীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে এরশাদ পালিয়ে যান। পরে প্রতিবেশীরা দুজনকে উদ্ধার করে সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রাফসানকে মৃত ঘোষণা করেন। রত্নার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে, তার অবস্থাও সংকটাপন্ন।
স্থানীয়রা জানান, এরশাদ তার স্ত্রীকে প্রায়ই নির্যাতন করতেন। এ নিয়ে একাধিকবার সালিশও হয়। চেয়ারম্যান মিজান বয়াতি এই সালিশ করে দিয়েছিলেন। কয়েকদিন আগে স্ত্রীর সঙ্গে এরশাদের বিচ্ছেদ হয়। সালিশের রায় পক্ষে না যাওয়ায় চেয়ারম্যানের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন এরশাদ। সে কারণেই তিনি এই হামলা চালিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জামাল পাশা জানান, চেয়ারম্যানের স্ত্রীর অবস্থা গুরুতর। তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, ঘটনার পর সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে অভিযুক্ত এরশাদ মোল্যা একটি পরিত্যাক্ত টাওয়ারে ওঠেন। তাকে ওই টাওয়ারে উঠতে দেখে স্থানীয়রা নিষেধ করেন, কিন্তু তিনি না মানায় তারা পুলিশকে জানান। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই তিনি লাফ দেন। এতে ঘটনস্থলেই এরশাদের মৃত্যু হয়।