আমার মা-বাবা সর্বদা সততা নিয়ে চলার শিক্ষা দিয়েছেন: টিটিই শফিকুল
                                    
                                    
                                        
                                            ডেস্ক রিপোর্ট
                                        
                                    
                                   
                                     প্রকাশ:  ১২:০০ এএম,  ৯ মে,সোমবার,২০২২ | আপডেট:  ০৬:২৪ পিএম,  ১ নভেম্বর,শনিবার,২০২৫
                                
                        
                    শফিকুল ইসলাম
রেলওয়ের আলোচিত ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষক (টিটিই) শফিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘নিজের সততা ও দক্ষতা দিয়ে কাজ করি। কখনই অন্যায় করিনি। আমার নিরক্ষর মা-বাবা আমাদের সর্বদা সততা নিয়ে চলার শিক্ষা দিয়েছেন। ’
গতকাল রবিবার দুুপুরে রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় ব্যবস্থাপকের কার্যালয় চত্বরে সহকারী পরিবহন কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজের জবানবন্দি দিতে আসেন টিটিই শফিকুল ইসলাম।
এই সময় গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন টিটিই শফিকুল ইসলাম।
শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘টিটিই হওয়ার কারণে চাকরি জীবনে অনৈতিকভাবে অনেক কিছু করার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু আমি তা কখনই করি না। এই কারণে টিটিই হিসেবে ট্রেনের যাত্রীদের কাছ থেকে রেলওয়ের সঠিক নিয়ম মেনে সর্বোচ্চ রাজস্ব আদায়ের রেকর্ড আমার রয়েছে। ’
গত বৃহস্পতিবার রাতে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে বিনা টিকিটের যাত্রী রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের স্ত্রী শাম্মী আক্তার মনির তিন আত্মীয়কে জরিমানাসহ এক হাজার ৫০ টাকা ভাড়া আদায় করেন টিটিই শফিকুল। গত শুক্রবার তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করেন রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) নাসির উদ্দীন। এ নিয়ে সমালোচনা হলে গতকাল শফিকুলের বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হয় এবং নাসির উদ্দিনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) করা হয়। শফিকুল চাকরিতে যোগদানের আদেশ পেয়ে আবেদনপত্র যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জমা দিয়েছেন।
শফিকুল বলেন, ‘চাকরিতে যোগদানের আদেশ পেয়ে খুবই খুশি। আমার আর কোনো কিছু চাওয়া নেই। তবে ট্রেনে বিনা টিকিটে ওঠা এক যাত্রীর করা অভিযোগ তদন্তের জন্য গঠন করা কমিটির তদন্তেও আমি নির্দোষ প্রমাণিত হব বলে বিশ্বাস করি। কারণ আমি কোনো অন্যায় করিনি। ’
শফিকুল ইসলামের বাবা রজব আলী নিজের সামান্য জমি ও অন্যের কিছু জমি ইজারা নিয়ে কৃষি কাজ করেন। তাঁর বাড়ি ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা সারুটিয়া গ্রামে। শফিকুল কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে এলএলবি পাস করেন। কিন্তু অভাব-অনটনের কারণে এলএলএম সম্পন্ন করতে পারেননি। ২০১৩ সালের ৪ এপ্রিল তিনি রেলওয়ের লালমনিরহাট ডিভিশনের অধীনে টিকিট কালেক্টর (টিসি) গ্রেড-২ যোগ দেন। পদোন্নতি পেয়ে টিটিই হয়ে চার বছর আগে ঈশ্বরদীতে যোগ দেন।


                                    
                                    
                                    
                                    
                                    


