গেটের সামনে প্রাচীর, বন্ধ মন্দিরের পথ, এলাকায় উত্তেজনা
                                    
                                    
                                        
                                            ডেস্ক রিপোর্ট
                                        
                                    
                                   
                                     প্রকাশ:  ১২:০০ এএম,  ২৩ এপ্রিল,শনিবার,২০২২ | আপডেট:  ১০:৫২ এএম,  ৪ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৫
                                
                        
                    রাজবাড়ির কালুখালী উপজেলায় হিন্দু পরিবারের দ্বন্দ্বের কারণে ৫ পরিবারের সদস্যরা দেড়শ বছরের পুরনো মন্দিরে যেতে পারছে না। নব নির্মাণকৃত এক বিল্ডিংয়ের সামনে এক পরিবার নির্মাণ করছে প্রাচীর। এতে বিল্ডিং থেকে বের হবার পথও বন্ধ হয়ে গেছে। এ ঘটনা ঘটেছে রাজবাড়ির কালুখালী উপজেলার মৃগী ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, চন্ডিপুর পূর্ব পাড়ায় পাশাপাশি নির্মিত হয়েছে পূজা মন্দির ও মঠ। মঠ ও মন্দিরের সামনে দুই হিন্দু পরিবারের বসতি। পিছনে ও সামনে আছে আরও ৫ পরিবার। মন্দিরের সামনে রয়েছে কুমারেশ বিশ্বাস ও কৃষ্ণপদ বিশ্বাসের বাড়ি। পাশাপাশি বাড়িতে দীর্ঘ দেড়শ বছর তারা পরস্পর বসবাস করছে। ২০১৮ সালে কুমারেশ বিশ্বাস কাঁচা ঘর ভেঙ্গে বাড়িটি দ্বিতল ভবন হিসেবে গড়তে থাকে। ৫ বছরের কাজের পর এ বছর ভবনটির কাজ সম্পন্ন হবার পথে। এরই মাঝে শুরু হয়েছে বিড়ম্বনা। কৃষ্ণপদ বিল্ডিংয়ের প্রধান গেটের সামনে দিয়ে শুরু করেছে প্রাচীর নির্মাণ। চারদিক খোলা রেখে বিল্ডিয়ের সামনে প্রাচীর নির্মাণ করায় বাড়ি থেকে বের হতে পারছেনা কুমারেশ। তার ঠাকুরদার আমলের পুরনো মন্দিরে যাওয়ার পথও বন্ধ হয়ে গেছে। এ সংকটের কারণে আরও ৫ পরিবার আটকা পড়েছে।
এ ব্যাপারে কুমারেশ কালুখালী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। মৃগী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ অভিযোগটির তদন্ত করছেন। কুমারেশ জানায়, অভিযোগ দায়েরের পর পুলিশ শান্তি রক্ষার চেষ্টা করছে। তবে বহিরাগত কিছু সন্ত্রাসী আমাদের অভিযোগ প্রত্যাহারের হুমকী দিচ্ছে। ফলে আমরা নিরাপত্তাহীন জীবনযাপন করছি। রাতে বাড়িতে ঘুমাই না।
কৃষ্ণপদ বিশ্বাসের বাড়িতে গেলে পরিবারের সদস্যরা জানায়, কৃষ্ণপদ ভারতে গিয়েছে। আসতে দেরী হবে। স্থানীয়রা জানায়, দ্রুত এই সংকট নিরসন না হলে বড় ধরণের দাঙ্গার আশংকা রয়েছে। এতে মুসলিম পরিবারগুলোও জড়িয়ে পড়বে।


                                    
                                    
                                    
                                    
                                    


