avertisements 2

বেলকুচিতে অর্থ লোভী বাবার হাত থেকে মুক্তি চায় লাবনী

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৬ এপ্রিল, বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:১৮ এএম, ২৫ ডিসেম্বর, বুধবার,২০২৪

Text

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার আগুড়িয়া গ্রামের মৃত আমিরুল ইসলামের স্ত্রী লাবনী খাতুন তার শশুরের ভিটাতেই বসবাস করছেন। লাবনীর বাবা আব্দুল মান্নান তালুকদার স্বামী আমিরুলের মৃত্যুর পর সকল টাকা পয়শা আত্বসাৎ করে এখন শশুর বাড়ীর লোকজনের বিরুদ্ধে হয়রানী মূলক মামলা করে ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে। অর্থ লোভী বাবার এমন অমানুষিকতা থেকে মুক্তি চায় লাবনী।

সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, প্রায় ১৪ বছর আগে আগুড়িয়া গ্রামের হাজী শাহজাহান আলী ফকিরের ছেলের সাথে পাশের শাহপুর গ্রামের আব্দুল মান্নান তালুকদার ওরফে বাটপার মান্নানের মেয়ের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী, শশুর শাশুরী, ভাশুর, ননদ নিয়ে বেশ সুখেই কাটছিলো তাদের সংসার এর মাঝে তাদের ঘরে জন্ম নেয় দুটি কন্যা সন্তান। হঠাৎ গত বছরের ২রা জুন হার্ট এ্যাটাকে মারা যায় আমিরুল। আমিরুলের মৃত্যুর পর তার কাপর ব্যবসার ২৫০ থান লুঙ্গী নগদ সারে ৪লাখ টাকাসহ তাঁতের সকল আসবাপত্র নিয়ে যায় মান্নান তালুকদার ওরফে বাটপার মান্নান। দফায় দফায় আমিরুলের সংসারের সব কিছু নিয়ে বিক্রি করে এই বাটপার মান্নান।

মঙ্গলবার সকালে এই প্রতিবেদক লাবনীর শশুর বাড়ীতে গেলে লাবনী বলেন, আমার বাবা আমাকে দিয়ে আমার শশুর, ভাশুরদের বিরুদ্ধে মামলা করিয়েছে। আমার স্বামীর মৃত্যুর পর আমার কাছে থাকা নগদ সারে ৪ লাখ টাকা ২৫০ থান লুঙ্গিসহ প্রায় দশ লাখ টাকার মুল্যের তাঁতের সকল সরঞ্জামদী তিনি বিক্রি করে সকল টাকা আত্বসাৎ করেছে। এখন আমার স্বামীর বড় ভাই শাহজামালের সেচ প্রকল্পের ভাগ নিতে আমাকে দিয়ে শালিস বসিয়ে টাকা দাবী করায়। গ্রাম্যে মাতব্বররা এই দাবী অযুক্তিক বলে কোন রায় দেয়না। এখন আমার বাবা বলে তোর শশুরকে বল আমিরুলের ভাগের সকল জমি তোর নামে লিখে দিতে। তোর নামে লিখে দিলে আমি সকল জমি বিক্রি করে তোকে অন্যত্র আবার বিয়ে দেবো।

আসলে আমার শশুর, শাশুরী ও ভাশুররা আমাকে এবং আমার মেয়েকে অনেক ভালোবাসে। আমি আমার শশুর বাড়ীতেই সারা জীবন থাকতে চাই। কিন্তু আমার বাবা আমার স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে আমার সংসারের সকল কিছু লুটেপুটে নিয়েছে। আমাকে নিয়ে গার্মেন্সে ভর্তি করে দিয়েছিলো কাজ করতে। কিন্তু আমি সেখান থেকে চলে এসেছি। আমি আমার শশুর বাড়ীতেই থাকতে চাই। কিন্তু আমার বাবা আমাকে নিয়ে নানা রকম খেলা খেলছে। আমি আমার বাবার নরকিয়তা থেকে মুক্তিচাই। আমার স্বামীর রেখে যাওয়া টাকা, কাপর বিক্রির টাকা ও তাতের সরঞ্জামাদী বিক্রির টাক ফেরৎ চাইলে আমার বাবা আমাতে মারধর করে। আমার এতিম দুই সন্তানের ভবিৎষতের কথা ভেবে আমার শশুরে কাছ থেকে কোন জমি আমি চাইনি। আমি আমার শশুর ও ভাশুরদের বিরুদ্ধে কোন মামলা করিনি। এটা আমার বাবা করেছে।

রাজাপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য হাবীব খান বলেন, আমিরুলের মৃত্যুর পর যখন আমিরুলের বাবা ভাই সবাই শোকাহত ঠিক সেই সময় মান্নান তালুকদার লাবনীর ঘর থেকে সকল কাপড়, নগদ টাকা, তাঁতের সরঞ্জামাদী বিক্রি করে নিয়ে যায়। পরে লাবনী জানায় তার বাবা সকল টাকা আত্বসাৎ করেছে। এখন আবার লাবনী তার শশুর বাড়ীতেই রয়েছে অথচো তার মেয়েকে ডেকে নিয়ে মিথ্যে কথা বলে শশুর ও ভাশুরদের বিরুদ্ধে মামলা করে ভিন্ন পথে ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে।

এব্যাপরে লাবনীর শশুর হাজী শাহজাহান ফকির বলেন, আমার ছেলের মৃত্যুর পর আমি আমার দুই নাতনী ও বৌমাকে নিয়ে সংসার করছি। অথচ আমার বৌমার বাবা মান্নান আমার সংসারে অশান্তি বিরাজ করছে। আমি এর বিচার চাই।

এবিষয়ে আব্দুল মান্নান তালুকদার ওরফে বাটপার মান্নানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমি একটা জমির মামলা নিয়ে কোটে আছি। এবিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি নয় তিনি।

বেলকুচি থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই কারণ এটি কোটের মামলা। আমার হাতে আসলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2