avertisements 2

চেয়ারম্যানকে বাক্সবন্দি সাপ উপহার, দেখে অজ্ঞান সহকারী

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৯ মার্চ,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০২:৫৮ পিএম, ৭ জানুয়ারী,মঙ্গলবার,২০২৫

Text

ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. কাইমুদ্দিন মণ্ডলকে বাক্সবন্দি সাপ উপহার পাঠানোর ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (২৮ মার্চ) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে উপজেলার গজারিয়া বাজারে চেয়ারম্যানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে। সাপটি লম্বায় ৮ হাত। কেউ বলেন দাঁড়াশ সাপ। আবার অনেকেই বলেন গোখরা সাপ।
উপহারের বাক্স খুলে সাপ পেলেন চেয়ারম্যান, দেখে অজ্ঞান সহকারী

চেয়ারম্যানের স্টাফ (কর্মচারী) শ্যামল কুমার বিশ্বাস বলেন, বিকেলের দিকে বয়স্ক একজন ভ্যানচালক কাগজের কার্টুনটি এনে বলেন, এটি চেয়ারম্যান সাহেবের উপহার আমার কাছে একজন পাঠিয়েছেন। আপনারা এটি রাখেন। উপহারের কার্টনের ওপরে লেখা ‘দই’। আমি ও আমার আরেক সহযোগী বাবুল শেখ মিলে কার্টনটি খুলে সাপ দেখতে পাই। এসময় বাবুল সাপ দেখে চিৎকার করে অজ্ঞান হয়ে পড়েন।

তিনি আরও বলেন, তাৎক্ষণিক পাশেই ভ্যানস্ট্যান্ডে ওই ভ্যানচালককে দেখতে পেয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ভ্যানচালক বলেন, রামনগর ইউনিয়নের গোপালপুর বাজারের কিটনাশকের একটি দোকান থেকে কার্টনটি আমাকে দেওয়া হয়। পরে চেয়ারম্যানের লোকজন ভ্যানচালককে সঙ্গে নিয়ে গোপালপুর বাজারে গিয়ে ওই ব্যক্তিকে খুঁজে পান। তার নাম জরুরউদ্দিন বেপারী। তিনি গোপালপুর গ্রামের আদেল উদ্দীনের ছেলে। পরে তাকে ধরে এনে গজারিয়া বাজারে আটকে রাখা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে রামনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কাইমুদ্দিন মণ্ডল বলেন, আমি দুপুরে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে ছিলাম। আমার স্টাফ শ্যামল কুমার আমাকে মোবাইলে জানায়, আপনার একটা উপহার এসেছে। বাক্সের ওপর ‘দই’ লেখা। আমি তখন তাকে খুলে দেখতে বলি। পরে জানতে পারি তার মধ্যে সাপ। ভ্যানওয়ালাকে নিয়ে পরে ওই লোকের সন্ধান পাওয়া যায়। তাকে ধরে আনা হয়। তবে কেন, কী কারণে সে এমন কাজ করেছে স্বীকার করেনি। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে গেছে। কিন্তু কোন থানার পুলিশ তাকে নিয়ে গেছে তিনি বলতে পারেননি। তিনি আরও বলেন, আমার তেমন কোনো শত্রু নেই। কিন্তু কেন যে সে এমন কাজ করল বুঝতে পারছি না।

নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিল হোসেন বলেন, ঘটনা শুনেছি। ওটা শুনেছি দাঁড়াশ সাপ। মরা সাপ। 

এ বিষয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসি এম.এ জলিল বলেন, এ রকম ঘটনা শুনেছি। কিন্তু ওই এলাকাটা আমার মধ্যে নয়। নগরকান্দা থানার মধ্যে। তারপরও আমি আবার বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2