avertisements 2

টিকটকে প্রেম, বাংলাদেশে এসে ঘর বাঁধলেন নেপালি তরুণী

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৫ মার্চ,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:৫৪ এএম, ১৮ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৫

Text

একজন বাংলাদেশি, অরেকজন নেপালি। টিকটকে পরিচয় তাদের। সেই থেকে ধীরে ধীরে মন দেওয়া-নেওয়া। এভাবেই কেটে যায় আড়াই বছর। একপর্যায়ে তারা আসেন বিয়ের সিদ্ধান্তে। কিন্তু ভিনদেশি ছেলে বলে আপত্তি তরুণীর পরিবারের। তবে তাদের ভালোবাসার মাঝে দেওয়াল হয়ে দাঁড়াতে পারেনি কোনো বাঁধা। অবশেষে প্রেমের টানে নেপালের তরুণী চলে এলেন ময়মনসিংহের গৌরীপুরে। ভালোবাসার মানুষটিকেই করলেন বিয়ে।

এমনটাই ঘটেছে ময়মনসিংহের গৌরীপুরের সহনাটি ইউনিয়নের হতিহর গ্রামের পলাশ পালের সঙ্গে। তিনি ওই এলাকার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নিতাই চন্দ্র পাল ও পূর্ণিমা রাণী পাল দম্পতির ছেলে এবং চিত্রনায়িকা জ্যোতিকা জ্যোতির ভাই।

জানা যায়, ময়মনসিংহের গৌরীপুরের পলাশ পাল পেশাগত কারণে সিঙ্গাপুরে থাকেন। সেখানে টিকটকে পরিচয় হয় নেপালি কন্যা অনুদেবী ভুজেলের সঙ্গে। তিনিও সিঙ্গাপুরের একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। পরিচয় থেকেই তাঁদের পরিণয়। আড়াই বছরের সম্পর্কের পর বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা।

তবে প্রথমে মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে আপত্তি আসে। ভিনদেশি ছেলের সঙ্গে এ সম্পর্ক মেনে নিতে চাননি তাঁরা। তবে ভালোবাসার কাছে টেকেনি সেই আপত্তি। গত ৭ মার্চ অনুদেবী চলে আসেন বাংলাদেশে। পলাশের বড় বোন অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি ঢাকায় তাঁদের বিয়ের আয়োজন করেন।

বউভাতের অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা জানাতে আসেন স্থানীয় সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন আহমেদ, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা মূর্শেদুজ্জামান সেলিম, জেলা পরিষদ সদস্য এইচ এম খায়রুল বাসার, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মুন্নাফ প্রমুখ।

কনে অনুদেবী জানান, ‘সিঙ্গাপুরে একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরির সময় টিকটকে পরিচয় হয় পলাশের সঙ্গে। তখনই তাকে আমার খুব পছন্দ হয়। তাই পলাশকেই জীবনসঙ্গী করে নিলাম। এছাড়া ওর বাবা-মা অনেক ভালো। আমাকে ওরা আপন করে নিয়েছে। নিজের মেয়ের মতোই আমাকে আদর করে।’

তিনি জানান, তাঁর বাবা ভারতীয় ও মা নেপালি। বাবার বাড়ি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দার্জিলিং জেলার নকশালবাড়ি। মূল বাড়ি নেপালে। দুই বোনের মধ্যে তিনি ছোট। বড় বোনের বিয়ে হয়েছে নেপালে। বরের কাকা রঞ্জিত কুমার পাল বলেন, ‘অনুদেবীকে আমরা নিজের মেয়ের মতোই বরণ করে নিয়েছি। আশা করছি, পরিবারের অভাব সে বুঝতে পারবে না।’

বরের বোন অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি বলেন, ‘আমরা চার ভাইবোনের মধ্যে পলাশ সবার ছোট। অনুদেবীকে পছন্দের বিষয়ে আগেই আমাদের জানিয়েছিল। বিয়ের মাধ্যমে তাঁদের প্রেমের সফল পরিণয় ঘটেছে। নবদম্পতির জন্য সবার কাছে আশীর্বাদ কামনা করছি।’

পলাশের মা পূর্ণিমা রাণী পাল বলেন, ‘আমাদের ছেলে তাঁকে পছন্দ করেছে। কনেকে আমাদের পছন্দ হয়েছে, সে খুব ভালো মনের মানুষ। এরই মধ্যেই সবাইকে আপন করে নিয়েছে।’

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2