ইউক্রেনে নিহত বাংলাদেশি ইঞ্জিনিয়ার হাদিসের বাড়িতে মাতম
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৩ মার্চ,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:২২ এএম, ২৫ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
আজ বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) সকালে নিহতের চাচা বেতাগী উপজেলা চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান ফোরকান জানান, রাশিয়ার চলমান আগ্রাসনের মধ্যে ইউক্রেনে আটকে থাকা বাংলাদেশি জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’তে রকেট হামলায় জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. হাদিসুর রহমান (৩৩) নিহত হয়েছে। তার এমন মৃত্যুর সংবাদে বাড়িতে শোক (মাতম) চলছে।
এর আগে ইউক্রেনের স্থানীয় সময় বুধবার (২ মার্চ) ভোর ৫টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। তবে বাংলাদেশ সময় বুধবার (২ মার্চ) রাত ১০টার পর ইউক্রেন থেকে ওই জাহাজে থাকা নাবিকরা হাদিসুর রহমানের বাড়িতে ফোন করে তার নিহতের খবর জানায়।
নিহত নাবিক হাদিসুর রহমান আরিফ বরগুনার বেতাগী উপজেলার ৩ নং হোসনাবাদ ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক মাস্টারের বড় ছেলে ও বেতাগী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান ফোরকানের চাচাতো ভাইয়ের ছেলে। ৪ ভাই বানের মধ্যে হাদিসুর দ্বিতীয়। তিনি ৪৭ ব্যাচের ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন।
বেতাগী উপজেলা চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান ফোরকান জানান, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের কৃষ্ণ সাগরের অলভিয়া বন্দরে নোঙর করা অবস্থায় আটকা পড়ে হাদিসুরসহ ২৯ জন নাবিক। পরে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বাড়িতে আটকে পড়ার সংবাদ জানান তিনি। এরপর আর কোনো যোগাযোগ হয়নি। ওই এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্কে সমস্যা থাকায় তার স্বজনরা একাধিকবার কল দিয়েও তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি। তবে হাদিসুর রহমানের মৃত্যুর সংবাদে আসার পর পুরো এলাকায় শোক নেমে এসেছে।
তিনি বলেন, আমরা আগে থেকেই বিচলিত ছিলাম। কারণ, হাদিসুর প্রায় ৫ দিন আগে তার মাকে মোবাইলে জানিয়েছিল যুদ্ধে আটকা পড়েছে। ফিরে আসতে পারবে কি না, তা নিয়ে সেও সন্দেহ প্রকাশ করেছিল। শেষ পর্যন্ত সেটাই সত্য হলো। নিহত হাদিসের ছোট ভাই মো. তারেক বলেন, জাহাজে থাকা সহকর্মীদের কাছেই মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হয়েছি। এরপর থেকেই আমার বাবা বাকরুদ্ধ হয়ে বসে আছেন, মা বেহুঁশ।