অনার্স পাস করেছেন, তাই দুই হাজার টাকার নিচে ঘুস নেন না নির্বাচন অফিসের পিওন তফাজ্জল তফাজ্জল
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৪ জানুয়ারী,শুক্রবার,২০২২ | আপডেট: ০১:২৪ এএম, ২৫ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় সপ্তম ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি। আগামীকাল বুধবার মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। এর মধ্যে নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের ভেতরে-বাইরে চলছে প্রার্থিতাপ্রত্যাশীদের ফরম পূরণ। যা করতে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে হাজার হাজার টাকা।
এ অবস্থায় উপজেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ের পিয়ন তফাজ্জলও বাদ যাননি। তিনি প্রতিজনের ফরম পূরণে হাতিয়ে নিচ্ছেন তিন হাজার টাকা। এক প্রার্থী টাকা কম দেওয়ায় দর-কষাকষি করে শেষমেশ নির্ধারিত তিন হাজার টাকা নেন। টাকা কম দিতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা ফুটপাতের লোক না, হইন্নি না (ফকিন্নি)। অনার্স-মাস্টার্স পাস কইর্যা এইহানে আইছি, টেহা কম নেঅনের লাইগ্যা না।’তাঁর এ কথার একটি ভিডিও আজ মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ওই ভিডিতে দেখা যায়, নির্বাচন অফিসের ভেতরে একটি কক্ষে বসে আগত প্রার্থীদের ফরম পূরণ করে দিচ্ছেন পিয়ন তফাজ্জল হোসেন।
তফাজ্জল হোসেনের বাড়ি পার্শ্ববর্তী গৌরীপুর উপজেলার ভাংনামারী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে। তিনি ওই অফিসে প্রায় চার বছর ধরে কাজ করে আসছেন।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেবা নিতে আসা একাধিক প্রার্থিতাপ্রত্যাশী জানান, তফাজ্জল সাধারণ লোকদের প্রায় সময়ই টাকার জন্য হয়রানি করে। দীর্ঘদিন যাবৎ সে এ ধরনের অবৈধ লেনদেনের সঙ্গে জড়িত। তফাজ্জলের কারণে সেবাগ্রহীতারা সুষ্ঠু সেবা পান না বলে দাবি করেন তাঁরা।
এ বিষয়ে জানতে অফিস সহকারী তোফাজ্জল হোসেনের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কর্মকর্তা মাহবুবুল হক বলেন, ‘ভিডিও দেখার সঙ্গে সঙ্গে তাকে শোকজ করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. হাফিজা জেসমিন বলেন, ওই অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।