জিপিএ-৫ পেয়েও আর্থিক অনটনে কলেজে ভর্তি অনিশ্চিত মেধাবী ছাত্রী বৃষ্টির
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৮ জানুয়ারী,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:০৬ এএম, ২৮ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় এসএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েও পরিবারের আর্থিক অভাব অনটনের কারণে কলেজে ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে বৃষ্টি খাতুনের। উপজেলার সলপ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে সে ২০২১ শিক্ষাবর্ষে এসএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছে।
উল্লাপাড়া উপজেলার সলপ গ্রামের ভূমিহীন দিনমজুর আইয়ুব আলীর মেয়ে বৃষ্টি খাতুন ২০১৮ সালে একই স্কুল থেকে জেএসসি পরীক্ষাতে গোল্ডেন জিপিএ-৫ এবং সাধারণ বৃত্তি পেয়েছিল। এছাড়া প্রথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষাতেও বৃষ্টি খাতুন জিপিএ-৫ পেয়ে বৃত্তি পেয়েছিল। বৃষ্টি খাতুনের বড় এক বোন রেহানা খাতুন স্থানীয় কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেছে ও ছোট ভাই আশিক সলপ উচ্চ বিদ্যালয়ে ১০ম শ্রেণিতে পড়ালেখা করছে৷ তার মা নার্গিস খাতুন গৃহিণী।
বৃষ্টি খাতুন স্থানীয় সাংবাদিকদের জানায়, নিজে প্রাইভেট পড়িয়ে ও প্রায় তিন বছর ধরে ব্যাগ সেলাই এর আয়ের টাকায় নিজের এবং তার ভাই বোনের পড়ালেখার খরচ করে আসছে। এখন ভালো কোনো কলেজে ভর্তি হলে তাকে অন্যত্র থাকতে হবে। এ কারণে ব্যাগ সেলাই করার আর কোন সুযোগ থাকবে না। এখন কলেজে ভর্তি এবং পড়ালেখায় প্রয়োজনীয় টাকা তার দিনমজুর বাবার পক্ষে যোগান দেওয়া সম্ভব নয়। এজন্য বৃষ্টি খাতুন এক ধরণের অনিশ্চয়তা নিয়ে এখন দিন পার করছে বলে জানা গেছে।
সলপ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খায়রুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, বৃষ্টি খাতুন একজন মেধাবী ছাত্রী। গরীব পরিবারের সন্তান।
বৃষ্টির মা নার্গিস খাতুনের বক্তব্যে, তার মেয়েটি খুবই মেধাবী৷ নিজবাড়িতে বিভিন্ন দোকানের কাপড়ের ব্যাগ সেলাই করে নিজেরসহ বোন ও ভাইয়ের পড়ালেখার খরচ চালিয়ে এসেছে। বৃষ্টি খাতুন পড়ালেখা করে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হতে চায়৷ দেশের সহৃদয় ব্যক্তিগণের কাছে তার মেয়ের লেখাপড়ায় সহযোগিতার আবেদন জানিয়েছেন। যোগাযোগের জন্য মোবাইল নম্বর ০১৭৯৪৮৪০৪৯৮।