বিয়ে করতে গিয়ে কারাগারে গেলেন বর
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২১ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ১১:৫৫ পিএম, ২৫ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে বিয়ে করতে গিয়ে কারাগারে গেলেন বর। অপ্রাপ্তবয়স্ক অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে বিয়ে করতে যাওয়ায় বরকে কারাগারে পাঠিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল (২০ ডিসেম্বর) সোমবার বিকেলে সংবাদ পেয়ে নাগেরপাড়া ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামে কনের পিতার বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানে হাজির হয় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুজন দাসগুপ্ত।
ভ্রাম্যমাণ আদালত ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গোসাইরহাট উপজেলার নাগেরপাড়া ইউনিয়নের কাচনা গ্রামের অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর (১৬) সঙ্গে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার চর দাতবালি গ্রামের আবদুস সাত্তার আকনের ছেলে দুলাল হোসেনের (৩২) বিয়ের আয়োজন করে উভয় পরিবার। এমন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়।
সেইসঙ্গে বরকে সাত দিনের কারাদণ্ড, কনের বাবাকে ১০ হাজার টাকা ও ছেলের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। জেএসসি পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন কার্ড অনুযায়ী ওই কনের বয়স ১৮-এর নিচে হওয়া বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭ এর ৮ ধারা অনুসারে আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে এই রায় দেওয়া হয়। এ ছাড়া ১৮ বছরের আগে মেয়েকে বিয়ে দেবে না এই মর্মে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে মুচলেকা নেওয়া হয়।
এ সময় উপস্থিত সবাইকে বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে পরামর্শ দিয়ে সবাইকে সতর্ক করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুজন দাসগুপ্ত। গোসাইরহাট উপজেলায় বাল্যবিবাহ বন্ধে উপজেলা প্রশাসন বদ্ধপরিকর। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ অভিযানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, পুলিশ বিভাগ ও সাধারণ জনগণ সার্বিক সহযোগিতা করেছেন বলে জানান তিনি। নারী ও শিশুর অধিকার রক্ষায় স্থানীয়দের অবদান প্রশংসনীয়।
গোসাইরহাট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুজন দাসগুপ্ত আরটিভি নিউজকে জানিয়েছেন, নাগেরপাড়া ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামে ১৮ বছরের কম বয়সী এক মেয়েকে বাল্যবিবাহ দেওয়া হচ্ছে এমন সংবাদে আমি ঘটনাস্থলে যাই এবং বরকে আটক করি। বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭-এর ৮ ধারা অনুসারে বরকে সাত দিনের কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। বাল্যবিবাহের আয়োজন করায় বরের বাবাকে ৫০ হাজার টাকা ও কনের বাবাকে ১০ টাকা জরিমানা করা হয়।